রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

অপরাজিতায় অভীষ্ট সিদ্ধ লাভ

মহাঅষ্টমীতে কুমারী পূজা

নিজস্ব প্রতিবেদক

শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা ছিল আজ (১১ অক্টোবর)।  প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও নগরীর পাথরঘাটায় রাধাগোবিন্দ ও শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দিরে এ পূজার আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় ফুল, চন্দন, বেলপাতা, তুলশী পাতা দিয়ে শুরু হয় পূজা আর্চনা। পূজা কার্যক্রম পরিচালনা করেন শান্তন্বেশ্বরী মাতৃমন্দিরের পুরোহিত শ্যামল সাধু মোহন্ত মহারাজ।  পূজা দেখতে ও অঞ্জলি দিতে ভক্ত অনুরাগীদের ঢল নামে এ মন্দিরে।

কুমারী পূজার জন্য মাতৃভাবের পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে এবছর কুমারী মায়ের আসনে বসানো হয়েছে ১১ বছর বয়সী শুভদ্রা বিশ্বাস ও১০ বছর বয়সী প্রীত ধরকে।

দুই জনের বয়স ১০ বছরের উর্ধ্বে হওয়ায় তারা অপরাজিতা নামে পূজিত হন। শাস্ত্রমতে, অপরাজিতা নামে পূজিত হলে অভীষ্ট সিদ্ধ লাভ করা যায়। প্রীত ধর সেন্ট স্কলাস্টিকাস স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীতে এবং শুভদ্রা বিশ্বাস একই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মন্দিরের পুরোহিত শ্যামল সাধু মোহন্ত মহারাজ সাংবাদিকদের বলেন, কুমারী আদ্যাশক্তি মহামায়ার প্রতীক। কুমারীরা শুদ্ধতার প্রতীক হওয়ায় মাতৃরূপে ঈশ্বরের আরাধনার জন্য কুমারী কন্যাকে নির্বাচিত করা হয়। মূলত নারীর যথাযথ মর্যাদায় অধিষ্টিত করতে কুমারী পূজা করা হয়। মাটির প্রতিমায় যে দেবীর পূজা করা হয়, তারই বাস্তবরূপ কুমারী পূজা। কুমারীতে সমগ্রজাতির শ্রেষ্ঠ শক্তি, পবিত্রতা, সৃজনী ও পালনী শক্তিসহ সকল কল্যানী শক্তি সুক্ষ্মরূপে বিরাজিতা। দুর্গা পূজায় কুমারী পূজা হলো অশুভ, অন্যায়, পাপ পঙ্কিলতার বিরুদ্ধে ন্যায়, পূর্ণ, সত্য ও সুন্দরের যুদ্ধ।

শারদীয় দুর্গ উৎসবে অষ্টমী পূজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিধিসম্মতভাবে অষ্টমীবিহিত পূজা করে দেবী দুর্গার কৃপা প্রার্থনা করেন ভক্তরা। অষ্টমী তিথির পূজায় নয়টি পাত্রে বিভিন্ন রঙের পতাকা স্থাপন করা হয় যা দেবীর নয়টি শক্তিকে উৎসর্গ করে করা হয়। স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে অধিষ্ঠিত দেবীকে নানা উপাচারে আরাধনা করে সব অনাচার আর সংকট মোচন এবং বিশ্ববাসীর শান্তি প্রার্থনা করে ভক্তরা। পূজা শেষে দেবী দুর্গাকে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করা হয়। অষ্টমী শেষে হবে সন্ধি পূজার মধ্যদিয়ে। অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে এই সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রামে এবার শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২ হাজার ৪৫৮টি মণ্ডপে। এর মধ্যে মহানগরে ২৯৩টি ও জেলার ১৫টি উপজেলায় পূজামণ্ডপ রয়েছে ২ হাজার ১৬৫টি। জেলার ১৫টি উপজেলায় ২ হাজার ১৬৫টি মণ্ডপের মধ্যে প্রতীমা পূজা ১ হাজার ৫৯৪টি বাকিগুলো ঘটপূজা। পূজামণ্ডপের মধ্যে আনোয়ারা উপজেলায়া ২৯৯টি, কর্ণফুলীতে ২৮টি, বোয়ালখালীতে ১৪৬টি, পটিয়ায় ১৯৫টি, চন্দনাইশে ১২৮টি, সাতকানিয়ায় ১৮৪টি, লোহাগাড়ায় ১১১টি, বাঁশখালীতে ২৫০টি, মিরসরাইয়ে ৯০টি, সীতাকুণ্ডে ৬৭টি, সন্দ্বীপ ৩০টি, ফটিকছড়িতে ১২৩টি, হাটহাজারীতে ১১৪টি, রাউজানে ২২৮টি ও রাঙ্গুনিয়ায় ১৬১টি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে।

এনইউ/জই

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর