রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

পূজা মন্ডপে গান

আলোচনার জন্ম দিল কারা?

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে ইসলামি সঙ্গীত গেয়ে অভিনব এক ঘটনার জন্ম দিল এক দল তরুণ। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। কারো কারো মতে, এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো পূজা মন্ডপে গান কি গাওয়া হলো, কারা গাইল- এদিকে না গিয়ে একদল সুবিধা নিতে চাইছে, আরেকদল অসচেতনভাবে ভিক্টিমাইজড হলো। এ বেহুদা কামের অর্থ কি? পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, এ জাতীয় সংবেদনশীল ঘটনার পেছনে বিশেষ পরিস্হিতি সৃষ্টির অপতৎপরতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।গান গাওয়ার সাথে ইসলামী ছাত্র শিবির জড়িত বলা হলেও ছাত্রশিবিরের অবস্থান তুলে ধরেছেন সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে জাহিদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘এক: এই ঘটনার সঙ্গে অনেকে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখছেন। আমি দায় নিয়ে বলছি, এর সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কোনও সম্পৃক্ততা নেই। দুই: শিবির কারও ধর্মীয় অনূভুতিতে আঘাত করে এমন কাজকে কখনোই সমর্থন করে না। তাই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তিন: ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে স্পষ্ট দাবি জানাচ্ছি, একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত সত্য সবার সামনে উঠে আসুক। কেউ দোষী হলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি দেওয়া হোক। চার: সত্যতা যাচাই না করেই যারা বিভিন্ন সময়ে শিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালায়, তারা একটা সময় গিয়ে নিজেদের বিবেকের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ হবেন। এ ধরনের কাজ থেকে ভবিষ্যতে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।’

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে শারদীয় দুর্গোৎসবের মঞ্চে ইসলামি সংগীত পরিবেশন করেছেন একদল তরুণ। অভিযোগ উঠেছে, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাংস্কৃতিক সংগঠন চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির সদস্যরা এটি করেছেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে নগরের জেএম সেন হলের শারদীয় দুর্গোৎসবের মঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পূজা উদযাপন কমিটির এক নেতার আমন্ত্রণে সংগঠনটি ওই পূজামণ্ডপে গান করতে যায়। তবে গান গাওয়ার পরে সনাতন ধর্মের মানুষদের মধ্যে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তারা ওই সংগঠনটিকে জামায়াত ইসলামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে দাবি করছেন। যদিও জামায়াত ও শিবির জানিয়েছে, তারা এই গান করার বিষয়ে কিছুই জানেন না, গানের দলটিও তাদের কোনও অঙ্গ সংগঠন নয়।

এনইউ/ জই

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর