সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

হাজীর মিলের মরিচের গুড়া ভেজালে ‘উরাধুরা’

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর কালামিয়া বাজারের হাজীর মরিচের মিলটি এলাকায় হাজির বিরিয়ানির মতো প্রসিদ্ধ।হাজী সাহেবের মার্কেটেই মরিচের মিলটি। স্হানীয়রা বিশ্বাস করে হাজি সাহবের মিল নির্ভেজাল। দোকানটিতে কম দামে বিক্রি করা হয় নিত্য প্রয়োজনীয় মসলা সামগ্রী।

এ মিলে তৈরী মরিচ, হলুদ ও ধানিয়াসহ অন্যান্য মসলা চলে বিশ্বাসের ওপর। কিন্তু বিশ্বাস করার উপায় আছে? না, খাবার অনুপযোগী নষ্ট পচা মরিচের সাথে ফটকা মরিচ মিশিয়ে স্বল্পমূল্যে এসব গুড়া মরিচ বিক্রি করা হতো।
দোকানের সামনে ৯৯% খাঁটি মসলা বিক্রির কথা লিখা থাকলেও বাস্তবতায় যেন শতভাগ ভেজাল।

ভোক্তাধিকার অভিযানে ধরা পড়ে মরিচ মিলটির এমন কারসাজি। মিলের ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখা যায় ময়লাযুক্ত নষ্ট পচা মরিচের বস্তা।

চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ময়লা অবর্জনা, জমে আছে বালি। মিলটিতে মরিচ, হলুদ গুড়ার করার পাশাপাশি কালো দাঁতের মাজনও গুড়া করা হয়। নোংরা পরিবেশে খাবারের অনুপযোগী মরিচ গুড়া বিক্রির অপরাধে হাজীর মরিচের মিলটিকে ৪০ হাজার জরিমানা করেছে ভোক্তাধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এ অবস্হা জেনে এলাকাবাসী ও নিয়মিত কাস্টমারদেরও চোখ কপালে।তাদের অনেকেরই মন্তব্য “হাজির মিলের মরিচের গুড়া,ভেজালে উরাধুরা”। নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ভেজালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদেরও।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানাধীন কালামিয়া বাজার এলাকায় মিলটি অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় ও জেলা কার্যালয়। জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এরূপ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক ফয়েজ উল্যাহ।

তবে মিলটির মালিক হাজী নজীব আহমেদ তার অপরাধের কথা স্বীকার করলেও তার দাবি নষ্ট মরিচের গুড়া এলাকায় বিক্রি করেন না, অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে এনে দেওয়া মরিচ তিনি গুড়া করেন দেন।

অভিযানে সাথে ছিলেন সহকারী পরিচালক (মেট্রো) মো: আনিছুর রহমান, সহকারী পরিচালক রানা দেব নাথ এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আকতার। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের বাকলিয়া থানার একটি টিম ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

এমএ/ জই

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর