৩ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার মধ্যে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র জমা দিতে বলা হলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এখনো সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ বেশ কয়েকজন অস্ত্র জমা দেননি।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে চট্টগ্রামে ৭৩২টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছিল।
নির্ধারিত সময়ে জমা পড়েনি ৫৬টি অস্ত্র। এরমধ্যে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন সংসদ সদস্য তিনজন, সাবেক পৌর মেয়র একজন, ব্যবসায়ী একজন এবং সাবেক যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা রয়েছে দুইজন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার আমলে দেওয়া অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
এদিকে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা না দিলে এসব অস্ত্রকেও অবৈধ ঘোষণা করা হবে বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে চট্টগ্রামে ৭৩২টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছিল।
নির্ধারিত সময়ে জমা পড়েনি ৫৬টি অস্ত্র। এরমধ্যে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন সংসদ সদস্য তিনজন, সাবেক পৌর মেয়র একজন, ব্যবসায়ী একজন এবং সাবেক যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা রয়েছে দুইজন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার আমলে দেওয়া অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। গত বুধবার থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।
অস্ত্র জমা দেননি যারা-সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নামে থাকা পিস্তল ও শটগান, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এসএম আল মামুনের নামে থাকা পিস্তল, চট্টগ্রাম-২ (মীরসরাই) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের পিস্তল ও তার ভাই সাবেদ উর রহমানের পিস্তল, বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরীর এক নলা বন্দুক, কেডিএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সেলিম রহমানের রাইফেল ও পিস্তল, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সহিদুল ইসলাম শামীমের শটগান, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক আরশাদ আলী খান রিংকুর এক নলা বন্দুক ও রাউজানে ডাবুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন চৌধুরীর নামে থাকা শটগান ও পিস্তল জমা দেননি।
অস্ত্র জমা না দেওয়াদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা হত্যা ও ডাকাতি মামলার আসামী।
যারা অস্ত্র জমা দেননি তাদের তালিকা করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের এক উউর্ধ্বতন কর্মকর্তা।অস্ত্রগুলো উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এমএ/ জই