কাপ্তাই লেকের পানি ছাড়া নিয়ে কয়েকদিনের গুজবে আতংক ছড়াচ্ছিল। আসলে পানি ছাড়লে কি হবে? বিশেষজ্ঞদের মত এতে আতংতিক হওয়ার কিছু নেই।
কাপ্তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যে পাঁচটি ইউনিট সচল আছে সে ইউনিটগুলোর মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে ৩০ হাজার কিউসেক পানি ইতোমধ্যে কর্ণফুলী নদীতে ছাড়া হচ্ছে।
এখন রাতে আরও ১৬ টি গেইট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হবে। এতে হয়তো আরও ৩০ থেকে ৫০ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হবে। এতে কর্ণফুলী নদীতে স্রোত বৃদ্ধি পাবে। চন্দ্রঘোনা ফেরী চলাচল বন্ধ হতে পারে।
স্বাভাবিক জোয়ারের পানির মতো রাউজান রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালীর ফসলী জমি বা সড়ক প্লাবিত হতে পারে। এর বেশি কিছু হবে না।
কাপ্তাই লেকের পানি ছাড়ার ফলে কোন ধরনের বন্যা বা প্লাবনের আশঙ্কা নাই।
কর্ণফুলী নদী গবেষক প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী জানিয়েছেন, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘কাপ্তাই বাঁধ থেকে যে পরিমাণ অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশিত হবে, তাতে হালদা নদীসহ কর্ণফুলী নদীতে জোয়ারের স্তর বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে কর্ণফুলী নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার কৃষিজমিতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে পারে।’
তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বাঁধ রক্ষার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। লেকের পানি বিপৎসীমার নিচে চলে আসলে কর্তৃপক্ষ পুনরায় গেটগুলো বন্ধ করে দেবে।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের এক জরুরি বার্তায় জানান, আজ দুপুর ৩টায় কাপ্তাই লেকের পানি ১০৭ দশমিক ৬৬ ফুট এমএসএল (মিন সি লেভেল) ছিল।
কাপ্তাই লেকের উজান এবং ভাটি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য আজ রাত ১০টায় লেকের ১৬টি স্পিলওয়ে ছয় ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হবে, যার ফলে প্রতি সেকেন্ডে নয় হাজার সিএফএস পানি নিষ্কাশিত হবে।
তিনি আরও জানান, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট সচল রাখার জন্য প্রতিনিয়ত ৩২ হাজার সিএফএস পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে।
এমএ/ জই