শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অবিরাম বৃষ্টিতে নগরীর নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশজুড়ে থেমে থেমে চলা বৃষ্টিপাতের মধ্যেই আরও দুইদিন চার বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সোমবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারি (২৪ ঘণ্টায় ৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হতে পারে।

ভারি বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমি ধস হতে পারে বলে ওই বার্তায় সতর্ক করা হয়েছে।

গত দুদিন ধরে অবিরাম বৃস্টিতে নগরের নিম্নান্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে তিনদিনের ভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরেক বার্তায় বলেছে, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে।

এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

সময় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।

সর্বোচ্চ বৃষ্টি চট্টগ্রামে

রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে কক্সবাজারে।

এছাড়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ১০৬, চট্টগ্রামের আমবাগানে ১০১, চট্টগ্রামে ৮৯ মিলিমিটারসহ প্রায় সারাদেশে কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে।

এ সময় সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত।

এমএ/ জই

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর