ওষুধ বিক্রয়ে নানা কারসাজি ও অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের মেসার্স সাহান মেডিকো এবং জমজম ফার্মেসিকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার এ অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়।
সাথে ছিলেন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়, ড্রাগ সুপার কার্যালয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরাও। শিক্ষার্থীরাও এতে অংশগ্রহণ করেন। মূলত শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) মোঃ আনিছুর রহমান, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিসের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ওয়াজেদ চৌধুরী, ড্রাগ সুপার কার্যালয়ের ড্রাগ সুপারইন্টেডেন্ট ফজলুল হক উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে মেসার্স সাহান মেডিকো নামীয় প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রয় ও সংরক্ষণসহ ওষুধের মূল্য কেটে বর্ধিত মূল্য উল্লেখ করার দায়ে জমজম ফার্মেসিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বলেন, সাধারণ মানুষ বিপদে পড়ে চমেক হাসপাতালের সামনের দোকানগুলো থেকে ওষুধ কিনেন। তখন রোগীর স্বজনদের ওষুধের মূল্য যাচাই করার সুযোগ থাকে না।
এই সুযোগ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাড়তি দাম নেন। অভিযানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, একটা দোকান আমদানির তথ্য বিহীন সার্জিক্যাল পণ্য বিক্রি করছে। অথচ এই সার্জিক্যাল পণ্যগুলো আমাদের দেশেও রয়েছে। সেগুলো তারা বিক্রি করতে পারে। কিন্তু তারা বেশী লাভ কারার আশায় আমদানীকৃত সার্জিক্যাল পণ্য বেশি দামে বিক্রি করছে।
সেখানে দেখা যাচ্ছে আমদানীকৃত পণ্যের সঠিক তথ্য নেই। তাহলে বুঝা যায় সুযোগ বুঝে এসব পণ্যে দাম বেশী নিচ্ছে।
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি, আমদানীকৃত তথ্য বিহীন সার্জিক্যাল পণ্য বিক্রি ও ওষুধের মূল্য কেটে বর্ধিত মূল্য উল্লেখসহ নানা অভিযোগে দুইটি ওষুধের দোকানকে মোট ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি।
জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এরূপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।
এমএ/ জই