কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন,এক টাকাও কেউ চাঁদা দিবেন না। সন্ত্রাসীদের জায়গা এই দেশে আর হবে না।
চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজি ঠেকাতে এই অভিযোগ কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি একটি অভিযোগ কেন্দ্র যাতে এই এলাকার কোন ধরনের কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকে, কোন পরিবারের, কোন দলের কিংবা অন্য কোন কারো অভিযোগ থাকে অভিযোগ কেন্দ্রে জানাবেন।
ষড়যন্ত্রকারী বা কিছু দুষ্কৃতিকারী যাদের কাছে এখনো অস্ত্র রয়েছে গ্রেফতার করতে হবে। এই অস্ত্রগুলো যুবলীগ -ছাত্রলীগের কাছে আছে। যার প্রেক্ষিতে তারা বিভিন্ন জায়গায় রাতের অন্ধকারে চুরি ডাকাতি করতেছে।
নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হওয়ায় আমরা চট্টগ্রাম বিএনপির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
অনতি বিলম্বে ওই সকল সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে তাদের অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে হবে। ঐ সমস্ত সন্ত্রাসীরা যারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছিল, তারা সন্ত্রাস রাহাজানি করে বিএনপির উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তাই আপনারা সজাগ থাকবেন। যাতে কোন দুষ্কৃতিকারী অপকর্ম করে বিএনপির উপর দোষ ছাপিয়ে দিতে না পারে। ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা যাবে না। আমরা জানতে পেরেছি কিছু দুষ্কৃতিকারী উৎপাতে আছে। আমরা অভিযোগ কেন্দ্র খুলেছি এতে নাম্বার দেওয়া আছে। কোন অভিযোগ পেলেই অভিযোগ কেন্দ্র জানাবেন।
এছাড়া আমরা এলাকায় এলাকায় মাইকিং করে বলছি। অভিযোগ পেলেই অভিযোগ কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।
তিনি আজ ৯ আগষ্ট, শুক্রবার বাদে জুমা ডিসি রোড চকবাজার ধুনিরপুল সংলগ্ন পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজি ঠেকাতে চকবাজার কাঁচা বাজার সংলগ্ন অভিযোগ কেন্দ্র উদ্বোধন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিগত ১৬-১৭ টি বছর গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের অনেক ভাইয়েরা শহীদ হয়েছেন।
হাজার হাজার নেতাকর্মী মামলা শিকার হয়ে জেলে গেছেন এবং পালিয়ে বেড়িয়েছেন। মামলার হাজিরা দিতে দিতে পরিবারকে খাবার দিতে পারেন নাই। কি যে একটা অবস্থা বিরাজ করছিল। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়েছে।
ছাত্র জনতা আন্দোলনে মাধ্যমে আমরা এই বিজয় অর্জন করে করেছি। কিন্তু এই বিজয় ধরে রাখতে হবে। স্বাধীনতা অর্জন আছে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। তাই বিজয় অর্জন করলেই হবে না,এই বিজয়কে ধরে রাখতে হবে।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন,আমি সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি এখানে চকবাজার কাঁচা বাজার আছে। মালিক সমিতি আছে।
কাউকে একটাকাও চাঁদা দিবেন না। চাঁদা চাইলে তাকে ধরে অভিযোগ কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন। আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ ও ছাত্রদের নেতা শহীদ ওয়াসিম আকরাম, মুগ্ধ সহ যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আমরা এই বিজয় অর্জন করেছি। কোনমতেই এই বিজয়কে ম্লান হতে দেওয়া যাবে না ।
নগর বিএনপির সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক অধ্যক্ষ খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে এবং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী এমরান উদ্দিনের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবাব বিএনপির নেতা ইয়াসিন চৌধুরী আসু, ইব্রাহিম বাচ্চু, আমিন মাহমুদ, হাজী আব্দুল আজিজ, হাজি নাবাব খান, রন্জু মিয়া, আব্দুলা আল সগীর, নগর যুবদলের সাংগঠনিক এমদাদুল হক বাদশা, মোহাম্মদ আলমগীর,নাজমুল হক নাজু, আ খ ম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক, ,মোহাম্মদ শাহজাহান, শফিকুর রহমান শফি, আব্দুল কাদের, মোঃ খোরশেদ আলম, হাজী মোহাম্মদ ইউনুছ, ফোরকান উদ্দিন, একতিয়ার উদ্দিন, গুলজার হোসেন লেদু, আবুল কালাম আবু,আজিজুল হক মাসুম, কামাল উদ্দিন, জিয়ারুল হক মিন্ট, মোঃ আলম, ইসমাইল হোসেন লেদু,মোহাম্মদ সেলিম, মো: জাবেদ, সাদ্দাম হোসেন,জাকির হোসেন, মোঃ সুলতান রাহান আলম জনি আরিফুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং এই আন্দোলনে আহতের সুস্থতা কামনায় বৃহত্তর বাকলিয়া বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মিলাদ ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চকবাজার ধুনিরপুল পালগাজি জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনসহ বৃহত্তর বাকলিয়ার বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস রিলিজ