সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামজুড়ে কয়েকদফা সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু ও শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনায় চারটি মামলা করা হয়েছে।
এর মধ্যে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় তিনটি এবং খুলশি থানায় একটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় অজ্ঞাত প্রায় ৭ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
নগর পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, পাঁচ হাজার থেকে ৬ হাজার ৫০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে তিনটি মামলা হয়েছে পাঁচলাইশ থানায়। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি এবং সংঘর্ষে আহত একজনের মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় আরও মামলা দায়ের হবে।
এছাড়াও নগরীর খুলশি থানায় একজনের নাম উল্লেখসহ সাড়ে পাঁচশত জনকে আসামি করা হয়েছে। একজন ভুক্তভোগী মামলাটি করেছেন।
সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম।
পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, তিনটি মামলার মধ্যে হত্যার দায়ে করা মামলায় অজ্ঞাত সাড়ে ৬ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়াও বিস্ফোরণের দায়ে ১০০ থেকে ১৫০ এবং হামলার ঘটনায় এক নারী ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি জানান, নিহত তিনজনের ময়নাতদন্ত শেষে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দেশের অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায়ও কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজনের মৃত্যু হয়।
চচ/আরপি