চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর উদ্যোগে ইউএসটিসি কতৃক দখলকৃত জমিতে ইতোপূর্বে নির্মিত পাহাড়তলী বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ এর সম্প্রসারণ ও পুন:নির্মান কাজ উদ্বোধন করেছেন ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) পুন:নির্মান ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেনপাহাড়তলী বধ্যভূমি কমপ্লেক্স প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিষদ এর আহ্ববায়ক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়স্থ নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক, নাট্য নির্দেশক মোস্তফা কামাল যাত্রা, সদস্য সচিব শাহাবুদ্দিন আঙ্গুঁর, সদস্য নাট্যজন মাশরুজ্জামান মুকুট, সিটি কর্পোরেশন এর প্রকৌশলী ফরিদ আহমেদ ও হিসাব বিভাগ কর্মকর্তা আনোয়ারুল জাহান প্রমূখ।
প্রয়াত মেয়র এ.বি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরীর ব্যাক্তিগত আগ্রহের কারণে ইউএসটিসি কর্তৃক দখলকৃত ১.৭৫ একর জমির মধ্যে ০.২ একর জমিতে অস্থায়ীভাবে প্রাথমিকভাবে এই বধ্যভূমি নির্মিত হয়েছিল। যা ভেঙ্গে বর্তমান মেয়র জনাব রেজাউল করিম চৌধুরী এর উদ্যোগে পুন:নির্মান ও সম্প্রসারণ কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রসারণ ও পুন:নির্মান কাজ উদ্বোধন করতে গিয়ে কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত নক্সা অপরিবর্তিত রেখেই এই পুন:নির্মান কাজ আগামী নভেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। সম্প্রসারণ কাজের অংশ হিসাবে বধ্যভূমির পেছনে একটি কার্যালয় ও ২টি প্রক্ষালন কক্ষও নির্মান করা হবে। যাতে করে যে কোন অনুষ্ঠানের সময় সামগ্রিক ব্যাবস্থাপনা আরো উন্নত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাট্যশিক্ষক ও পাহাড়তলী বধ্যভূমি কমপ্লেক্স প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্ববায়ক মোস্তফা কামাল যাত্রা বলেন, সিটি মেয়র ও ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বিশেষ ধন্যবাদ এমন মহত পদক্ষেপ গ্রহণ করায়। এটা শহীদ পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল নাগরিকের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উচিত সিটি কর্পোরেশনকে এক্ষেত্রে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করা।
পাহাড়তলী বধ্যভূমি কমপ্লেক্স প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব শাহাবউদ্দিন আঙ্গুর বলেন: অনতিবিলম্বে পাহাড়তলী বধ্যভূমির সম্পূর্ণ জমি ইউএসটিসি এর দখলদারিত্ব মুক্ত করে ১.৭৫ একর জমিতে একটি কমপ্লেক্স ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ করা হোক।
চাটগাঁর চোখ/ এইচডি