সাবেক সফল মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের বদৌলতে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই ভূখণ্ডে সাম্প্রদায়িকতার কবর রচিত হয়েছে। তাই স্বাধীন বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুমহান ঐতিহ্য আমাদেরকে যে কোনও মূল্যে সমুন্নত রাখতে হবে। আমরা যার যার নিজ ধর্ম পালনের পাশাপাশি অন্য ধর্মালম্বীদের সম্মান করব। তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকব। এটাই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির জনকের আদর্শ।
উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে সোমবার (১৬ জুলাই) নন্দকানন ইসকনের উদ্যোগে শ্রী শ্রী রাধামাধব মন্দির ও শ্রী শ্রী গৌর নিতাই আশ্রম আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নন্দনকানন ইসকনের সভাপতি পণ্ডিত গদাধর দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তারণ নিত্যানন্দ দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা পর্বে মহান আশীর্বাদক ছিলেন ভারতের উড়িষ্যার শ্রীমৎ ভক্তি নীলাচল স্বামী মহারাজ। প্রধান আলোচক ছিলেন ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর সেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন তালুকদার, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু ও নগর যুবলীগের সহসভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সহসভাপতি অনুরূপ পাল, পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল ও সাবেক ছাত্র নেতা শিবু প্রসাদ চৌধুরী।
এছাড়া নন্দনকানন ইসকন রাধামাধব মন্দির ও গৌর নিতাই সেবাশ্রমের সহ সভাপতি অকিঞ্চন গৌর দাস ব্রহ্মচারী, যুগ্ম সম্পাদক মুকুন্দ ভক্তি দাস ব্রহ্মচারী, সদস্য অপূর্ব মনোহর দাস ব্রহ্মচারী ও সুবল সখা দাস ব্রহ্মচারীসহ টিএমসি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা পর্ব শেষে আমন্ত্রিত অতিথিরা মঙ্গল দ্বীপ প্রজ্জ্বালন ও বেলুন উড়িয়ে উল্টো রথযাত্রার শুভ উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কখনওই ঠাঁই হবে না। আজকের বাংলাদেশে ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। তাই ধর্মের আধ্যাত্মিক চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করে আমাদের সকলকে জগতের কল্যাণ ও সম্প্রীতির চর্চা করতে হবে। শ্রী শ্রী জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরামের আশীর্বাদে জীবন হয় সুন্দর। সমস্যায় ঘেরা জীবনে মুক্তি এনে দেন ত্রি-দেবতা। জীবন-রথ পরিচালিত করতে এই রথযাত্রা দেয় অনুপম শিক্ষা। উল্টো রথযাত্রার উদ্বোধন শেষে ভক্ত-পূণ্যার্থীরা শ্রী শ্রী জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা মহারাণী অধিষ্ঠিত রথ টেনে নগর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। ভক্তরা বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, পৌরাণিক সাজ ও বাদ্যযন্ত্রসহকারে রথের শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।
চাটগাঁর চোখ/ এইচডি