কোটা আন্দোলনকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের মঞ্চ না বানানোর জন্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রণী জাতীয় সংগঠন সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১ এর কার্যনির্বাহী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নূরুল আলম।
শুক্রবার ( ১২ জুলাই) নগরের লালদীঘি পাড়ে অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ অনুরোধ জানানো হয়। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের নাগরিকদের আমরা মুক্তিযুদ্ধকে জানবার আহবান জানাই।
তাদের আরও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, মুক্তি বাহিনীর যে সকল সদস্য ১৯৭১ সালে জীবনবাজি রেখে পাকিস্তান হানাদার সেনা বাহিনী ও তাদের দেশীয় অনুচরদের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়েছিলেন তাঁদের সিংহভাগ ছিলেন গ্রামে গঞ্জের সুবিধাবঞ্ছিত দেশপ্রেমীক মানুষ, যাঁরা কয়েক যুগ ধরে উপেক্ষিত ও অবহেলিত থেকেছেন। কিছু উন্নয়নের পরেও জনসংখ্যার অর্ধেক নারী সমাজ আজও পিছিয়ে আছে। পিছিয়ে আছে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠি ও শারীরিক প্রতিবন্ধিরা। অতএব রাষ্ট্রের চাকুরিক্ষেত্রে তাদের সকলের জন্য বিবেচনা প্রসূত হারে কোটার ব্যবস্থা অবশ্যই যুক্তি সঙ্গত। তবে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১ মনে করে, অনেক বছরের ব্যবধানে, বিশেষত মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছর পার হওয়ার পর পূর্বেকার কোটা ব্যবস্থার যুক্তিসঙ্গত ও বাস্তবসম্মত সংস্কার হতে পারে যাতে নতুন প্রজন্মের সত্যিকার মেধাবীরা বঞ্চিত না হয়।
সেই সঙ্গে ফোরাম আরও মনে করে যে, আন্দোলনের বাতাবরণে দেশের স্বাধীনতা বিরোধী মহলের অনুপ্রবেশ ঘটলে এবং বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় বীরদের আত্মত্যাগকে কটাক্ষ ও অবমূল্যায়ন করা হলে তা হবে চরম দুর্ভাগ্যজনক ও উদ্বেগজনক।
সংগঠনের সভাপতি আবদুল মালেক খানের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন কার্যনির্বাহী সভাপতি এডভোকেট সাইফুন নাহার খুশী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আশেক মাহমুদ মামুন, সহ সভাপতি কামাল উদ্দিন, রাজীব চন্দ, ইঞ্জিনিয়ার ইয়াকুব মুন্না, শিলা চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক দীপন দাশ, মোস্তাফিজ বিপ্লব, মাহি আল জিসা, ইলিয়াস হায়দার, সাং- গঠনিক সম্পাদক নবী হোসেন সালাউ- দ্দিন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কোহিনুর আকতার, এম এ খালেক, আবদুর রহিম, মফিজুর রহমান, এস এম রাফি, জহির খান, রঞ্জন রাতুল প্রমুখ।
চাটগাঁর চোখ/ এইচডি