চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বন্দর সেন্টার নামক কস্তুরী হোটেলের সামনে ঐতিহাসিক ৭ জুন ৬ দফা দিবস ও বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল সমাবেশে অতর্কিত হামলার ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর আলোচিত সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) রিদুওয়ানুল করিম চৌধুরী সায়েমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জন আসামি করা হয়।
সায়েম (৩৬) ছাড়াও মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন- শওকত ওসমান (৪২), জসিম উদ্দিন (৪৫), রিদুয়ানুল হক রহিম (৪৪), আলমগীর চৌধুরী (৬২), জসিম উদ্দিন চৌধুরী (৫৫), এম কাইয়ুম শাহ (৫০) ও এমএ মান্নান চৌধুরী (৬২)। অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জন। অভিযুক্তরা সবাই আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা।
গত ২৬ জুন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালতে এ মামলাটি করেন আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা কাকন আইচ। যার সি.আর মামলা নং-২৮৪/২৪ (কর্ণফুলী)।
মামলা দায়েরের ১০দিন পর গতকাল শনিবার (৬ জুলাই) চট্টগ্রাম মেট্টোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রবিবার তথ্যটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদীর আইনজীবী অসীম শর্মা।
তিনি জানান, দন্ডবিধি ১৪৩-১৪৮, ৩২৩-৩২৬, ৩০৭, ৪২৭, ৫০৬ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ এনে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্টোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) কে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি পরবর্তী ৩১ জুলাই মামলার প্রতিবেদন প্রার্থীর তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
গতকাল মামলাটি চট্টগ্রাম মেট্টোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অফিসে পৌছাবার পর তদন্তের জন্য একজন অফিসারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বললেন পিবিআইয়ের রিসোর্স অফিসার (আর. ও) ফারুক হোসাইন রিফাত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঐতিহাসিক ৭ জুন ৬ দফা দিবস ও বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে গত ৭ জুন বিকেল ৪ টায় কর্ণফুলী উপজেলাধীন বন্দর সেন্টার নামক কস্তুরী হোটেলের সামনে মিছিল সমাবেশ করেন। এতে আসামিদের পরস্পরের যোগসাজশে বাদীসহ মিছিলকারীদের ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়।
এ ঘটনায় বাদীকে মারধর করে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম করেন। তাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে এলে সকল আসামি ও অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জন লোক আনোয়ারা উপজেলা তৃণমূল আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের এলোপাতাড়ি মারধর করেন।
পরে খবর পেয়ে আনোয়ারা থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছালে তারা পালিয়ে যান। পরে বাদীসহ আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে চমেক হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়।
চচ/আরপি