বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

অকারণে বাড়ল চালের দাম

সংবাদ বিশ্লেষণ

অকারণে বাড়ল চালের দাম। দৈনিক পূর্বকোনের শিরোনাম এটি। বাজারে সবজি থেকে শুরু করে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। এখন নতুন করে দুশ্চিন্তা বেড়েছে চালের দামে। শহর ছেড়ে গ্রামে এসেও সংসার খরচের দুশ্চিন্তা যেন পিছু ছাড়ছে না। ১৫ দিনের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে বস্তায় একশ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত-এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- স্বামী-স্ত্রী ও শিশু সন্তান নিয়ে তিন জনের সংসার। থাকতেন বহদ্দারহাট সংলগ্ন বাদুরতলায়। তিন মাস আগে শহর থেকে চলে গেছেন গ্রামের বাড়িতে। তিন জনের সংসারে খরচ বেড়েছে আড়াই থেকে তিন গুণ। বেড়েছে অন্যান্য খরচও। দ্রব্যমূল্যের চাপ সইতে না পেরে শেষতক গ্রামে ফিরে যান পরিবারটি।
গতকাল কথা হয় ওই ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চলছে টানাটানিতে। বাজারে সবজি থেকে শুরু করে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। এখন নতুন করে দুশ্চিন্তা বেড়েছে চালের দামে। শহর ছেড়ে গ্রামে এসেও সংসার খরচের দুশ্চিন্তা যেন পিছু ছাড়ছে না।’
বাজারে শাক-সবজি থেকে শুরু করে মাছ- মাংসের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। বেশির ভাগ সবজির দাম কেজিতে এক শ টাকার ওপরে। ভোগ্যপণ্যের অন্যান্য পণ্যের দামও একই অবস্থা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে চালের দাম। যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম বস্তাপ্রতি এক থেকে আড়াই শ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মধ্য-নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণি মানুষ। চালের অন্যতম বড় পাইকারি মোকাম পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম নিজাম উদ্দিন পূর্বকোণকে বলেন, “দেশে চালের সবচেয়ে বড় মৌসুমে দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। অথচ দেশে ধান ও চালের কোনো সংকট নেই। তারপরও অযৌক্তিকভাবে চালের দাম বাড়িয়েছেন মিলাররা।’
তবে মিল মালিক সংগঠন চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘হঠাৎ করে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে নিম্নমানের চালের বেচাকেনা একেবারে কম। উন্নতমানের চালের দাম বস্তায় দুই শ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।’
কোনো কারণ ছাড়াই দুই সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি দুই থেকে আড়াই শ টাকা পর্যন্ত। চালের সবচেয়ে বড় ও ভরা মৌসুমে দাম বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে মিল মালিকদের দাবি, ধান সংকট ও ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দাম বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে বেতি আতপ চাল বস্তাপ্রতি ২৪শ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৬ ও ২৭শ টাকায়। নূরজাহান সিদ্ধ (উন্নতমানের) ২৫শ টাকা থেকে বেড়ে ২৭৫০শ টাকা, মধ্যমানের নূরজাহান সিদ্ধ ২৪৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২৬শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট সিদ্ধ (উন্নতমানের) ২৭৫০ টাকা থেকে ৩৯০০ টাকা, মধ্যমানের ২৫৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইজাম সিদ্ধ ২৫শ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৭৫০ টাকায়। শুঁটি সিদ্ধ ২৩শ টাকা থেকে বেড়ে ২৫শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জিরাশাইল মানভেদে ২৯ ও ৩১শ টাকা থেকে বেড়ে ৩২ ও ৩৩শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাহাড়তলী বণিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. জাফর আলম বলেন, ‘বাজারে ধান-চালের সংকটের অজুহাতে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। মিলার ও বড় কর্পোরেট গ্রুপগুলো কারসাজি করে দাম বাড়িয়েছে।’
কনজুমার এসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন পূর্বকোণকে বলেন, “দেশে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ার একটা প্রতিযোগিতা আছে। ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছেই। এখন চাল মিল মালিক ও ব্যবসায়ীরাও এই প্রতিযোগিতায় সামিল হয়েছে।’

চট্টগ্রামে বেকার বেশি শহরে। দৈনিক পূর্বকোনের শিরোনাম এটি। গ্রামের তুলনায় শহরের বেকারের সংখ্যা বেশি। মহানগর ও জেলা মিলে চট্টগ্রামে মোট জনসংখ্যা ৯১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ জন। এরমধ্যে ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী জনসংখ্যা ৬০ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪৩ জন। এই বয়স শ্রেণির ১২ লাখ ৮২ হাজার ২৪৮ জন মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য কোনো কাজ করেন না-এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- বন্দরনগরী চট্টগ্রামে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরে বেকারের সংখ্যা বেশি। ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম জনসংখ্যার মধ্যে শহরাঞ্চলে বসবাস করা ৪৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য কোনো কাজ করেন না। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে এমন মানুষের হার ৩৯ দশমিক ১৫ শতাংশ।
এমন তথ্যই উঠে এসেছে ২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনা চট্টগ্রামের প্রতিবেদনে। সম্প্রতি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মহানগর ও জেলা মিলে চট্টগ্রামে মোট জনসংখ্যা ৯১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ জন। এরমধ্যে ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী জনসংখ্যা ৬০ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪৩ জন। এই বয়স শ্রেণির ১২ লাখ ৮২ হাজার ২৪৮ জন মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য কোনো কাজ করেন না।
১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী বেকার প্রায় ১৩ লাখ মানুষ এরমধ্যে শহরে অবস্থানকারী বেকার মানুষের সংখ্যা ৭ লাখ ৫২ হাজার ৭৯ জন আর গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী বেকার মানুষের সংখ্যা ৫ লাখ ৩০ হাজার ১৬৯ জন । আবার এই বয়স শ্রেণির বেকার জনসংখ্যার মধ্যে ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৩৩৯ জন নারী এবং ৬ লাখ ১৪ হাজার ৯০৯ জন পুরুষ।
অন্যদিকে শহর ও গ্রাম মিলে ২৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮৯৭ জন বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত। তাদের মধ্যে গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন ১১ লাখ ৯ হাজার ৬৬০ জন, শহরাঞ্চলে বসবাস করেন ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ২৩৭ জন। এর বাইরে জেলায় গৃহস্থলীর কাজ করেন ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৫৮৪ জন। গৃহস্থলীর কাজ করা জনসংখ্যার মধ্যে ২৮ হাজার ৮৫৭ জন পুরুষ এবং ১৯ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৭ জন নারী। বাকী ৯৭ হাজার ৬১৪ জন মানুষ চাকরি খুঁজছেন । এরমধ্যে ৭৯ হাজার ১৫৫ জন পুরুষ এবং বাকী ১৮ হাজার ৪৫৯ জন নারী। আবার চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ৪৯ হাজার ৩১২ জন গ্রামে এবং ৪৮ হাজার ৩০২ জন শহরাঞ্চলে বাস করেন।
এদিকে জেলায় ১৫ বছরের কম বয়সী ২৭ হাজার ৯৯৩ জন শিশু জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন কাজ করেন। ৬৫ বছরে বেশি বয়সে কাজ করেন ৮১ হাজার ২৫০ জন মানুষ। বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত জনসংখ্যার মধ্যে ১৫ বছরের কম বয়সীদের সংখ্যা শহরে বেশি হলেও ৬৫ বছরের বেশি বয়সে কাজ করা মানুষের সংখ্যা বেশি গ্রামে।

বৈঠক হলেও হয়নি সমঝোতা। দৈনিক আজাদীর শিরোনাম এটি। নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই পক্ষকে নিয়ে ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও সমঝোতা হয়নি। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দুই পক্ষের পরবর্তী বৈঠক ১৬ জুলাই-এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়-সাংগঠনিক বিরোধ নিরসনে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই পক্ষকে নিয়ে ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও সমঝোতা হয়নি। এজন্য পরবর্তী সমঝোতা বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ জুলাই। সেদিনের বৈঠকে নগরীর ৪৪ সাংগঠনিক ওয়ার্ড ও ১৫ থানা কমিটির জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা নিয়ে যেতে বলেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। উভয় পক্ষ থেকে নামের তালিকা নিয়ে কমিটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে চট্টগ্রামের দুই পক্ষকে জানানো হয় ।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষ হয় বিকেল ৪টায়। বৈঠকে উপস্থিত নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতা আজাদীকে বলেন, সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই পক্ষের বক্তব্য শুনেন। এসময় নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২০ সদস্যের আংশিক কমিটির আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা (৭ সহ সভাপতি, ৩ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ২ জন সাংগঠনিক সম্পাদক) কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ও গঠনতন্ত্র না মেনে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একতরফা ভাবে গত ১৪ মার্চ গভীররাতে নগরীর ৭ থানা ও ১২ ওয়ার্ডে যে কমিটি ঘোষণা করেছেন তা বাতিলের আবেদন জানান।
গতকালের বৈঠকের ব্যাপারে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি সুজিত দাশ আজাদীকে বলেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আমাদের (নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের উভয় পক্ষের) বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আমরা নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ  সম্পাদক কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ও গঠনতন্ত্র না মেনে রাতের আঁধারে নগরীর ৭ থানা ও ১২ ওয়ার্ডে যে কমিটি ঘোষণা করেছেন তা বাতিল করা জন্য অনুরোধ করেছি। কেন্দ্রীয় নেতারা বিষয়টি নিয়ে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছেন। এসময় চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় নেতাদের বলেছেন, আপনারা কমিটিগুলো বাতিল করলে চার মাস আগে বাতিল করতেন তাহলে সাংগঠনিকভাবে আমরা আরো এগিয়ে যেতে পারতাম। জবাবে কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, তোমরা যে কমিটিগুলো করেছ সেগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করে রেখেছি। কমিটিতে অন্যদল থেকে আসা এবং বিতর্কিত অনেককেই পদ দেয়া হয়েছে। এগুলো তদন্ত করতে গিয়ে আমাদের কিছুটা সময় লেগেছে।
অনেক আলোচনা শেষে সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু নগরীর অন্যান্য ওয়ার্ড ও থানা কমিটিগুলো করার জন্য আমাদের থেকে নামের তালিকা চেয়েছেন। আমরা আগের কমিটিগুলো বাতিল করে নতুনভাবে নগরীর ৪৪ ওয়ার্ড ও ১৫ থানার কমিটি গঠন করা জন্য উনাদেরকে অনুরোধ করেছি। শেষ পর্যন্ত উনারা আমাদেরকে বলেছেন, তোমরা আগামী ১৬ জুলাই আস। ঐদিন ৪৪ সাংগঠনিক ওয়ার্ড ও ১৫ থানা কমিটির সম্ভাব্য প্রার্থীদের লিস্ট নিয়ে আস। ঐদিন আমরা বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব। আমাদেরকে দুইদিনের সময় নিয়ে যেতে বলেছেন ।
ঢাকায় গতকালের বৈঠকের ব্যাপারে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশীষ আচার্য্য আজাদীকে বলেন, সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে আলোচনায় উভয় পক্ষ একটি সমঝোতায় এসেছে। আগামী ১৬ তারিখ আবার ঢাকায় যেতে বলেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নগরীর ৭ থানা ও ১২ ওয়ার্ডের কমিটি ঘোষণা করেন নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু এবং সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ। গভীর রাতে নিজস্ব ফেসবুকে নগরীর ৭ থানা ও ১২ ওয়ার্ডের কমিটি ঘোষণায় বিস্ময় প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২০ সদস্যের আংশিক কমিটির অপর গ্রুপের ১২ নেতা। স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই ১২ নেতা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। এক তরফা ভাবে রাতের আঁধারে ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি ১৬ মার্চ চট্টগ্রাম প্রেসসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই ১২ নেতা। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই সময় ১৮ মার্চ নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের উভয় পক্ষকে শোকজ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং গঠনতন্ত্র না মেনে গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নগরীর ৭ থানা ও ১২ ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি ঘোষণা করায় নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কেন্দ্র থেকে ১৮ মার্চ শোকজ করা হয়েছিল। পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তরে এই শোকজের সন্তোষজনক লিখিত ব্যাখা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। একই সাথে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্যও ওইদিন নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই থেকে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সকল কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ে।

চাটগাঁর চোখ/ এইচডি

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর