নগরের বাকলিয়ায় স্ত্রী পারভিন আক্তারকে হত্যার দায়ে স্বামী জামাল উদ্দীনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালত এই রায় দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুর রশিদ বলেন, ১৩ জনের সাক্ষীর ভিত্তিতে স্ত্রী পারভিন আক্তারকে হত্যার অভিযোগ ৩০২ ধারায় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি জামাল উদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে নগরের বাকলিয়া এলাকার একটি ঘটনা। ভিকটিম পারভিন আকতার আসামী জামাল উদ্দিন সাথে ঘটনার ৭/৮ মাস আগে কাবিননামা ছাড়া গরম বিবির মাজারে গিয়ে বিবাহ করে। তবে আসামী জামাল উদ্দিন ভিকটিম পারভীনের ২য় স্বামী ছিল। ভিকটিমের আগের স্বামী মনা মিয়া বিচ্ছেদ হওয়ার পর আসামী জামাল উদ্দিনের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের কিছুদিন সুখে শান্তিতে তাদের দাম্পত্যজীবন অতিবাহিত হলেও পরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। ঘটনারদিন ভিকটিমকে পিটিয়ে আহত করে গলায় ওড়না পেছিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর জামাল স্ত্রী পারভিনকে বাসায় কম্বল প্যাঁচিয়ে খাটে শুইয়ে রাখেন। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ দরজা ভেঙ্গে পারভিনের মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্ত করা হয়।
এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে বিচার শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামি পক্ষে ১ জন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।
চাটগাঁর চোখ/ এইচডি