শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু!

চট্টগ্রামে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু! দৈনিক পূর্বকোণের শিরোনাম এটি। চট্টগ্রাম জুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু। মশাবাহিত এই রোগটি বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হচ্ছেন। একদিনেই শিশুসহ হাসপাতালে ভর্তি ৯ জন এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়-বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে চট্টগ্রামে নতুন ‘আপদ’ দেখা দিয়েছে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু। এতদিন দিনে এক কিংবা দুই জন করে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেলেও হঠাৎ করেই যেন চোখ রাঙাতে শুরু করেছে মশাবাহিত এ রোগটি। শুধুমাত্র গেল একদিনেই নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে নয়জন। যা চলতি বছরে একদিনে শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যায় রেকর্ড। তাও আবার আক্রান্তরা সকলেই একই উপজেলার বাসিন্দা। গতকাল চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত দৈনিক ডেঙ্গু প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, আক্রান্ত হয়ে নয়জনই লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও একটি বেসরকারি হাস- পাতালে ভর্তি হয়েছেন। যাদের মধ্যে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু রয়েছে। বাকিদের মধ্যে এক কিশোরসহ সাতজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন। শনাক্ত হওয়া এ নয়জন নিয়ে চলতি বছরে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে ২০৭ জন। যাদেরমধ্যে ১০০ জন উপজেলার বাকি ১০৭ জনই নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া জানান, নতুন করে শনাক্ত
হওয়া নয়জনের মধ্যে তিনজন উপজেলা হাসপাতালে বাকি ছয়জন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সবাই লোহ গোড়া উপজেলার বাসিন্দা। উপজেলায় এখন পর্যন্ত ১৭ জন শনাক্ত হয়েছে। মোট আক্রান্তদের মধ্যে ১০৮ জন পুরুষ, ৫১ জন নারী এবং ৪৮ জন শিশু রয়েছে। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় সামনের দিনগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে
আশঙ্কা ।
এদিকে, হঠাৎ করে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ায় উদ্বিগ্ন খোদ স্বাস্থ্য বিভাগ। যদিও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন। অন্যদিকে, বর্ষা মৌসুম হওয়ায় সামনের দিনগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের। তাই ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ চিঁ- কিৎসকদের।

 

বড় জাহাজে পণ্য পরিবহনের সুফল মিলছে চট্টগ্রাম বন্দরে। দৈনিক পূর্বকোণের শিরোনাম এটি। চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে। তবে কমেছে জাহাজ আগমনের হার। সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯০ টিইইউস কন্টেইনার ওঠানামা হয়েছে। এ হিসাবে বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৩১৫ টিইইউস। যা শতকরা হিসাবে আগের বছরের চেয়ে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেড়েছে। এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়-  বড় জাহাজে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনের সুফল পেতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। যা সচিত্রে উঠে এসেছে সদ্যবিদায়ী অর্থবছরের (২০২৩-২৪) কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের পরিসংখ্যানে । চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯০ টিইইউস। যা এর আগের অর্থবছর (২০২২- ২০২৩) ছিল ৩০ লাখ ১৭ হাজার ৩৭৫ টিইইউস । অর্থাৎ সদ্যবিদায়ী অর্থবছরে এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ১ লাখ ৬১ হাজার ৩১৫ টিইইউস বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। যার মাধ্যমে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ ।
অন্যদিকে, বিদায়ী অর্থবছরে (২০২৩-2028) কার্গো বা খোলা পণ্য হ্যান্ডলিং হয়েছে ১২ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৭৪৮ মেট্রিক টন। যা এর আগের অর্থবছর (২০22-2023) ছিল ১১ কোটি ৮২ লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৩ মেট্রিক টন। অর্থাৎ সদ্যবিদায়ী অর্থবছরে এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ৪৯ লাখ ৪৫ হাজার ১০৫ মেট্রিক টন কার্গো বেশি হ্যান্ডলিং হয়েছে। যার মাধ্যমে কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে এবার প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ। এদিকে, বড় জাহাজে একবারে বেশি পরিমাণে পণ্য নিয়ে আসতে পারায় বিদেশি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা জাহাজের সংখ্যা কমেছে। বড় জাহাজে বেশি পরিমাণে পণ্য আমদানি রপ্তানি হলে পণ্য পরিবহনের খরচ কম হওয়ার সুবিধা মেলে। তবে জাহাজ আসা-যাওয়ার সংখ্যা গণনায় প্রভাব ফেলে। যা লক্ষ্য করা গেছে বিদায়ী অর্থবছরের পরিসংখ্যানে।
সদ্যবিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ আসা-যাওয়ার সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৯৭১টি। অথচ এর আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল 8 হাজার ২৫৩ টি। অর্থাৎ বিদায়ী অর্থবছরে (২০২৩-২৪) তার আগের অর্থবছরের (২০২২-২৩) তুলনায় ২৮২ টি জাহাজ কম আসা-যাওয়া করেছে। ফলে জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ ।
পণ্য হ্যান্ডলিং ও জাহাজ আসা-যাওয়া প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক পূর্বকোণকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে আগের চেয়ে বড় জাহাজ ভিড়তে পারছে। বড় জাহাজে একসঙ্গে বেশি পণ্য ও কনটেইনার পরিবহন করা যায়। তার সুফল আমরা পাচ্ছি। এতে জাহাজের সংখ্যা কিছুটা কমতে পারে । তবে আমরা চাই বড় জাহাজে বেশি পণ্য পরিবহনের সুযোগ আরো বাড়ুক। এতে জাহাজ ভাড়া কম পড়বে, আমদানি ও রপ্তানিকারকরা তথা দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। তিনি আরো বলেন, বড় জাহাজে বেশি পণ্য আসার পাশপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিক হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংযোজন, অটোমেশন, অভিজ্ঞতা, দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্প ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। এদিকে জাহাজ আসা-যাওয়া কমার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ পূর্বকোণকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে বিগত অর্থবছরে তার আগের সময়ের তুলনায় ২৮২ টি জাহাজ কমেছে। তার পরেও কার্গো ও কনটেইনার পণ্য পরিবহনের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। যদি জাহাজ সংখ্যা না কমতো তবে প্রবৃদ্ধির পরিমাণ হতো দুই ডিজিটের। কিন্তু সম্প্রতি ফ্ল্যাগ প্রোটেকশন এক্ট এর কারণে গত অর্থবছরে কিছু জাহাজ আসা যাওয়ার উপর প্রভাব পড়েছে। এমনকি দুই/তিনটি শিপিং কোম্পানি তাদের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের রুট থেকে সরিয়ে নিয়েছিল। তাই চট্টগ্রাম বন্দর ও সরকারকে দেশের স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ আসা-যাওয়ার সংখ্যা বাড়াতে পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে বন্দর ও দেশেরই লাভ হবে। উল্লেখ্য, সমুদ্রপথে দেশের কনটেইনার পরিবহনের ৯৮ শতাংশ হয় এই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। কনটেইনারবাহী জাহাজ ও খোলা পণ্যবাহী বাল্ক কার্গো এ দুই ধরনের জাহাজে করে আসা-যাওয়া পণ্য ওঠা-নামার ভিত্তিতে বন্দরের প্রবৃদ্ধি নির্ধারণ করা হয়। সিমেন্ট, ইস্পাতসহ খাদ্যশস্য ও সাধারণ পণ্য আমদানি হয় বাল্ক কার্গো বা খোলা পণ্যবাহী জাহাজে। অন্যদিকে শিল্প-কারখানার কাঁচামাল, মূলধনি যন্ত্রপাতি ও বাণিজ্যিক পণ্য আমদানি হয় কনটেইনারে করে।

 

তার নামে ব্যাংকে ৫টি অ্যাকাউন্ট খুলল কে। দৈনিক আজাদীর শিরোনাম এটি। শারমিন আক্তার থাকেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম থাকলেও তার নামে রূপালী ব্যাংক নাটোর শাখায় চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়-  শারমিন আক্তার পেশায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী। থাকেন নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন উত্তর মুরাদনগর এলাকার আমিন জুট মিল এলাকায়। এই শিক্ষানবিশ আইনজীবী চট্টগ্রাম থাকলেও তার নামে রূপালী ব্যাংক নাটোর শাখায় চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। গতকাল তার নামে একই ব্যাংকে আরো ৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে তার মোবাইলে এসএসএস এলে তিনি বিস্মিত হন। এই ব্যাপারে প্রতীকার চেয়ে গতকাল বায়েজিদ থানায় জিডি করেছেন তিনি ।

শারমিন আক্তার আজাদীকে জানান, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি আমার মোবাইল নম্বরে রূপালী ব্যাংক ঢাকা প্রধান কার্যালয় থেকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি এসএমএস আসে যে, আমি রূপালী ব্যাংক নাটোর শাখায় একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছি। এসএমএসটি পেয়ে আমি বিস্মিত হই। কারণ আমি থাকি চট্টগ্রামে আমার নামে নাটোরে কীভাবে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হলো? বিষয়টি জানতে আমার বাসার পাশে রূপালী ব্যাংক বিবিরহাট শাখায় গিয়ে জানতে চাই। এই ব্যাংকের কর্মকর্তারা আমার মোবাইলের এসএমএস দেখে আমার নামে নাটোরে তাদের শাখায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।

তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি ২৪ জানুয়ারি রূপালী ব্যাংক নাটোর শাখায় একটি উকিল নোটিশ পাঠাই। আমার পাঠানো উকিল নোটিশের জবাবে গত ৩১ জানুয়ারি রূপালী ব্যাংক নাটোর শাখার প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান এক চিঠিতে জানান, ১৮ জানুয়ারি রূপালী ব্যাংক পিএলসি নাটোর কর্পোরেট শাখায় মোছা. শারমিন আকতার মিমির নামে একটি সঞ্চয়ী হিসার খোলার সময় গ্রাহক আইডি ব্যবহারের সময় তার আইডির স্থলে ভুলবশত আমার (শারমিন আকতার) আইডি নম্বর ব্যবহার করে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ব্যাংক হিসারটি খুলে ফেলেছিলেন। হিসার খোলার পর আমাদের শাখা থেকে ইস্যুকৃত শুভেচ্ছা ম্যাসেজ অপশন থেকে উক্ত ম্যাসেজ মোবাইলে প্রেরণ করা হয়েছে। এটি ভুলবশত হয়েছে। এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়। আইডিটি সংশোধন করা হয়েছে বলে আমাকে জানানো হয়। কিন্তু আজকে (গতকাল সোমবার) রূপালী ব্যাংকে ৪টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে আমার মোবাইলে আরো এসএমএস আসে। এই ঘটনায় আমি বায়েজিদ থানায় জিডি করেছি (নং ৫১)।

চট্টগ্রাম কাস্টমসে রেকর্ড রাজস্ব আদায়। দৈনিক আজাদীর শিরোনাম এটি।  পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমসে সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে (জুলাই- জুন) ৬৮ হাজার ৫৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। গত অর্থবছরের তুলনায় রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। তবে কাস্টমসের মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে। টাকার হিসেবে ৯ হাজার ৫৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। কাস্টমস কর্তারা বলছেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসে প্রতি বছরই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ থেকে পিছিয়ে থাকলেও সামগ্রিকভাবে গত বছরের তুলনায় ৫ হাজার ৯০৪ কোটি ৯১ লাখ রাজস্ব আয় বেড়েছে। যা খুবই ইতিবাচক। মূলত কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার তৎপরতায় মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি কমে গেছে। এছাড়া আটককৃত পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্কায়ন মূল্যের দ্বিগুণ জরিমানা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ডলার সংকটের কারণে অনেক ব্যবসায়ী প্রত্যাশা। মতো ব্যাংকে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারেনি। এছাড়া সরকারও বিভিন্ন বিলাসী পণ্য আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হয়। যার প্রভাবে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আয় করতে পারেনি কাস্টমস।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমসে
২০২০-২০২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭৭ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে জুলাই মাসে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা, তবে আদায় হয় ৫ হাজার ৪৭২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এছাড়া আগস্ট মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬ হাজার ২৭ কোটি টাকা, আদায় হয় ৫ হাজার ৭১১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ হাজার ৫০ কোটি টাকা, আদায় হয় ৫ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। অক্টোবর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা, আদায় হয় ৫ হাজার ৬৬১ কোটি ১১ লাখ টাকা। নভেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা, আদায় হয় ৫ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা। ডিসেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬ হাজার ৯১০ কোটি টাকা, আদায় হয় ৫ হাজার ১০৯ কোটি ২০ লাখ টাকা । জানুয়ারি মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা, আদায় হয় ৫ হাজার ৯১৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ফেব্রুয়ারি মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৫ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা, আদায় হয় ৪ হাজার ৯১৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। মার্চ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ হাজার ৯১ কোটি টাকা, আদায় হয় ৫ হাজার ৬৩২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এপ্রিল মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ হাজার ৭১ কোটি টাকা, আদায় হয় ৫ হাজার ৯৬৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এছাড়া মে মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৪ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা, আদায় হয় ৬ হাজার ৫০২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
অন্যদিকে চলতি জুন মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ৬ হাজার ৭৩৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমসে গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রথমবারের মতো ৫১ হাজার কোটি রাজস্ব আদায় হয়। পরের অর্থবছরের ২০২১-২০২২ অর্থবছরের আদায় হয় ৫৯ কোটি টাকা এবং ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৬১ হাজার ৪৬৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসে সমাপ্ত অর্থবছরে ৬৮ হাজার ৫৬২ কোটি ৭২ লাখ রাজস্ব আদায় হয়েছে। তবে আমাদের রাজস্ব আদায় আরো কিছু বাড়বে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের আদায়ে হিসাব এখনো সন্নিবেশিত করা হয়নি। সেটি যোগ হলে প্রায় ৬৯ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হতে পারে ।

নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা ভোগান্তি মানুষের। দৈনিক সুপ্রভাতের শিরোনাম এটি।২৪ ঘণ্টায় ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিতে পানি জমে গেছে বাকলিয়া স্কুলের মাঠে। এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- টানা বর্ষণে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিভিন্ন সড়কে জমে থাকা বৃষ্টির পানির কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ির পাশাপাশি যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
শনিবার সকাল থেকে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হলেও রোববার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। যা সোমবার পর্যন্ত চলমান ছিলো। এদিন দুপুর থেকে বিভিন্ন এলাকায় পানি জমতে শুরু করে। কোথাও কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমরসমান পানিতে তলিয়ে যায় রাস্তাঘাট ও অলিগলি । সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর নিচু এলাকা স্থবির খাতুনগঞ্জের বেচাকেনা চকবাজারের কাঁচাবাজার, মুহাম্মদ শাহ আলী লেন, হাসমত মুন্সেফ লেন, কাপাসগোলা, বাকলিয়ার ডিসি সড়ক এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে পথচারীদের পাশাপাশি স্থানীয়রা পড়েছেন বিপাকে। কাপাসগোলা এলাকার বাসিন্দা আবদুস ছোবহান সওদাগর বলেন, রোববার সকালের বৃষ্টিতে পানি ছিল যা দুপুর পর্যন্ত ছিল। এরপর সোমবার সকালে আবার পানি দেখা যায়। বৃষ্টি হলে নালাগুলো আটকে থাকায় পানি নেমে যাওয়ার সুযোগ থাকে না, যার ফলে পানি জমছে।
অন্যদিকে নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ, হালিশহর, হালিশহর বড়পুল, ছোটপুল, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চাক্তাই, আসাদগঞ্জ, পাঁচলাইশ, কালুরঘাট বিসিক শিল্প এলাকা, কাতালগঞ্জ, শুলকবহরসহ নিম্নাঞ্চলে হাঁটু পরিমাণ পানি জমেছিলো।
তাছাড়া টানা বর্ষণে স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের অন্যতম ভোগ্যপণ্যের আড়ত খাতুনগঞ্জ । গত দুইদিন ধরে জোয়ারের পানিতে মধ্যম চাক্তাই, নতুন চাক্তাই, চুর চাক্তাই, পুরাতন চাক্তাই, মুকবুল সওদাগর রোড ও আসাদগঞ্জের প্রতিটি সড়ক ডুবে যায়। পাশাপাশি চাঁন্দমিয়া গলি, ইলিয়াছ মার্কেট, বাদশা মার্কেট, সোনা মিয়া মার্কেট, নবী মার্কেট, মাল্লা মার্কেট, চাক্তাই মসজিদ গলি, ড্রামপট্টি, চালপট্টি ও এজাজ মার্কেটসহ বেশির ভাগ মার্কেটেই পানি ঢুকে পড়ে। তবে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ পর্যন্ত পানিতে তেমন ক্ষতির মুখে পড়েননি ব্যবসায়ীরা।
চাক্তাই এর চালপট্টির আড়তদার মো. রেজাউল বলেন, পানি প্রতিবছরই উঠে। যার কারণে অনেক ব্যবসায়ী আগাম প্রস্তুতি নিয়ে থাকে । এ কারণে মালামাল ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়। তবে কয়েকটি আড়তে পানি ঢুকেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ আপাতত বলা যাচ্ছে না।
খাতুনগঞ্জের হামিদউল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিছ বলেন, গত দুদিন ধরে খাতুনগঞ্জের নিচু এলাকায় পানি উঠেছে। রাস্তায় জলাবদ্ধতার কারণে পথচারী ও ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। এদিকে ইপিজেড বন্দর-পতেঙ্গা থানাধীন বন্দরটিলা, সিমেন্ট ক্রসিং, নারিকেলতলা, রুবি সিমেন্ট গেইট, নুরগনিপাড়া, স্টিল মিল-(মহাজন) হিন্দুপাড়া, খালপাড়, বন্দরটিলার নয়াহাট, নিউমুরিং, সিমেন্ট ক্রসিং- আকমল আলী রোড এলাকাজুড়ে সড়কে পানি জমেছে হাঁটু পর্যন্ত ।
সিমেন্ট ক্রসিং এলাকার বাসিন্দা মো. মাসুদুল আলম বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় । এই দুইদিনের সামান্য বৃষ্টিতে মানুষ ভোগান্তিতে
পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাথ তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, সোমবার বিকাল তিনটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আরও কয়েকদিন বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে দমকা হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৩ ও নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

চাটগাঁর চোখ/ এইচডি

 

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর