শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আষাঢ়ী বর্ষণ থাকবে আরো কিছুদিন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে শুরু হয়েছে ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ। শনিবার থেকে শুরু হওয়া এ বর্ষণ অব্যাহত থাকে রবিবারও, যা চলবে আরও বেশ কয়েকদিন। দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রাম নগরে জীবনযাত্রায় ছন্দপতন ঘটে।

তবে তীব্র গরমের পর হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিতে নগরবাসীর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও টানা দুদিনের বৃষ্টিতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। চট্টগ্রাম নগরের নিচু এলাকাগুলো ডুবে যায়, ভোগান্তিতে পড়তে হয় কর্মস্থলমুখী নাগরিক ও শিক্ষার্থীদের। এ ছাড়া সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে পড়ায় সাধারণ যাত্রীদেরও কষ্ট সইতে হয়।

রবিবার (৩০ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত ছিল। এর আগে গত শনিবার (২৯ জুন) সকাল থেকে শুরু হয় বর্ষণ, যা রাত অবধি অব্যাহত থাকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অফিস জানিয়েছে, আরও অন্তত চার থেকে পাঁচদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। থেমে থেমে ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হবে। অতি বৃষ্টির কারণে ঘটতে পারে পাহাড় ধসের মতো ঘটনাও।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, রবিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৭০ দশমিক সাত মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সোমবার (১ জুলাই) ‍এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৪.৫ মিমি।

মৌসুমি জলবায়ু সক্রিয় রয়েছে। চট্টগ্রামসহ দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোর জন্য ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত জারি রয়েছে। মাছ ধরার নৌকাসহ ছোট ছোট জলযানগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণে ডুবেছে নগরের চকবাজার, কাপাসগোলা, বাদুড়তলা, মুরাদপুর, শুলকবহর, ছোটপুল, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, প্রবর্তক মোড়, তিনপুলের মাথাসহ নগরের নিচু এলাকাগুলো। টানা বৃষ্টি হওয়ায় সড়কে পানির স্থায়ীত্বকালও হয় দীর্ঘ। নিচু সড়কগুলো ডুবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই সব সড়কে রিক্সাই একমাত্র ভরসা। হাঁটু থেকে বুকপানি ভেঙে রিক্সা চলাচল করায় যাত্রীদের ভাড়াও গুনতে হয় স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। আর যান্ত্রিক যানবাহনগুলো উঁচু সড়কে উঠে পড়ায় সৃষ্টি হয় যানজটের।

ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা বিদ্যালযয়ে বাচ্ছাকে নিয়ে আসা সারমিন আক্তার নামে এক অভিবাবক বলেন, আমার বাসা মুরাদপুর। ডে শিফটে স্কুল। বাচ্ছাকে নিয়ে স্কুলে আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। সকাল থেকে বৃস্টি তার উপর কোন গাড়ি নেই। বাধ্য হয়ে রিক্স করে এলাম। রিক্সওয়ালার ভাড়া তো দ্বিগুন চাই।

জামালখান ইউসিবি ব্যাংকের ফয়সাল নামের এক কর্মকার্তা বলেন, দুইনাম্বর গেইট থেকে আসতেছি। দুইনাম্বার গেইট ইউসিবি ব্যাংকের শাখার একটা কাজ ছিলো। সকাল থেকে বৃস্টি তার উপর কোন গাড়ি যেতে চাই না। খুব খারাপ অবস্থা। বৃস্টি পরলে তখন বাসায় বসে থাকতে ভালো লাগে। কিন্তু যখন কাজের সময় বৃস্টি পরে তখন বেশি কষ্ট পায় সাধারন মানুষগুলো।

চাটগাঁর চোখ/ এইচডি

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর