শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

চট্টগ্রামের পত্রিকা ( ১লা জুলাই ২৪):  

ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট। দৈনিক আজাদীর শিরোনাম এটি।চেক আসত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়রের নামে। সেই টাকা চসিকের হিসাবেই জমা হওয়ার কথা, কিন্তু চসিকের হিসাবে চেক জমা না হয়ে চলে যেত অন্য একটি হিসাবে। এভাবে আত্মসাৎ করা হয় সাড়ে তিন কোটি টাকা। কাজটি মিলেমিশে করেছেন তিন ব্যাংক কর্মকর্তা। আত্মসাতের এ ঘটনা ঘটে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ করপোরেট শাখায়।এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের হিসাব নম্বরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ইস্যু করা চেক জমা না করে আরেকটি হিসাব নম্বরে জমা করে ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় অগ্রণী ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার তিন কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক। তারা হলেন অগ্রণী ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার সাবেক কর্মকর্তা (ক্লিয়ার সেকশন) রফিক উদ্দিন কোরাইশী, প্রিন্সিপাল অফিসার শুভম দেওয়ান ও গাজী আরিফুর রহমান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা সুমন মিয়া। চার্জশিটে দায়িত্বে অবহেলার কারণে চসিকের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (বিল) আশুতোষ দে ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (বাজেট) মাসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক ফয়সাল কাদের চট্টগ্রাম আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় এ চার্জশিট দাখিল করেন। দুদক কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । চার্জশিটে বলা হয়, চসিকের হিসাবে জমা না করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া চেক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা সুমন মিয়ার হিসাবে জমা করা হয়। এরমধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা-জাইকার সোনালী ব্যাংক হিসাব থেকে ইস্যু করা ৪১টি চেকের মাধ্যমে ৯৯ লাখ টাকা এবং অন্যান্য বিভিন্ন ঠিকাদারের দেওয়া আরও আটটি চেকের ৯৯ লাখ টাকা একইভাবে তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়। এ ঘটনায় চসিকের হিসাব শাখার গাফিলতি ছিল বলে চার্জশিটে বলা হয়।

আদালত সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর টাকা জমা না করে আত্মসাতের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। এজহারে বলা হয়, সিটি করপোরেশনের হিসাব নম্বরে টাকা জমা না করে এক ব্যক্তির হিসাব নম্বরে টাকা জমা করার বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর জিজ্ঞেস করলে কোরাইশী টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করেন।

গণপূর্ত ঠিকাদার সমিতির অফিসে হামলা, ভাঙচুর। দৈনিক আজাদীর শিরোনাম এটি। চট্টগ্রামে সরকারি কার্যভবনের আঙিনায় গণপূর্ত ঠিকাদার সমিতির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রোববার বেলা দেড়টার দিকে নগরের আগ্রাবাদে সরকারি কার্যভবন ১-এ এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- নগরীর আগ্রাবাদে গণপূর্ত বিভাগের কার্যালয়ের ভেতরে ঠিকাদার সমিতির অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে কথিত যুবলীগ নেতা এস এম পারভেজের অনুসারীরা। এ সময় দুই জন আহত হন। গতকাল রোববার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলম (৩২) এবং সমিতির অফিসের এক কর্মচারীকে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা এস এম পারভেজ (৩৬) আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনির আবুল কাশেমের ছেলে। এ ঘটনায় জালাল (৩৫) ও সাকিব (২১) নামে দুজনকে আটক করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, ‘গণপূর্ত অফিসের কম্পাউন্ডের ভেতরে ঠিকাদার সমিতির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়েছে। এস এম পারভেজ নামে এক ব্যক্তির ইন্ধনে এ হামলার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে ১০ থেকে ১৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে । হামলায় জড়িত জালাল (৩৫) ও সাকিব (২১) নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঠিকাদার বলেন, এস এম পারভেজের অনুসারী সুমন ও জালালের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে। মাসুম, তমাল, রিয়াজ, সায়েম, জিসানসহ আরও কয়েকজন হামলায় অংশ নেয়। এর আগে ২০২১ সালেও পারভেজ ও তার লোকজন গণপূর্ত ভবনে ঢুকে হামলা করেছিল। তখন ডবলমুরিং থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। এ ঘটনার পর থেকে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির কারণে পারভেজ ও তার অনুসারীরা আর গণপূর্ত ভবনে আসতে পারেনি। তিন বছর পর আবার একইভাবে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে ঠিকাদারী ব্যবসায় তারা আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে।

সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ থেকে কর্মবিরতি, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা। দৈনিক পূর্বকোণের শিরোনাম এটি। বৈষম্যমূলক পে-স্কেল ও পেনশন স্কেলের প্রতিবাদে আজ (সোমবার) থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। যার কারণে বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার ক্লাস ও পরীক্ষা। এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থায় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে ঘোষিত ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে আজ সোমবার থেকে একযোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন ৩৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন ফটকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া। এর আগে একই দাবিতে আজ সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা শিক্ষক তারা সরকারি শিক্ষক হিসেবে গণ্য হন না। তাদের নিজস্ব কাঠামো আছে। শিক্ষকদের কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করে পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা মোট তিনটি দাবি জানিয়েছেন। এগুলো হলো- প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন। অপরদিকে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি শুধু প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিল ।

লিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন তিন মাসেরও অধিক সময় ধরে বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছে। ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে বিবৃতি প্রদান, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, মানববন্ধন, প্রতীকী কর্মবিরতি, স্মারকলিপি প্রদান এবং অবস্থান কর্মসূচির মতো শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালিত হয় এবং আজ ৩০ জুন (গতকাল) পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি সরকার অনতিবিলম্বে এই যৌক্তিক দাবি মেনে নেবে, যাতে আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে পারি। অন্যথায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১ জুলাই সোমবার থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে ।

নতুন সম্ভাবনার বে টার্মিনাল হবে বাংলাদেশের গেম চেঞ্জার। দৈনিক সুপ্রভাতের শিরোনাম এটি। বিশ্বব্যাংকের সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন ‘বে টার্মিনাল‘ প্রকল্পে গতি নিয়ে এসেছে। প্রকল্পের ব্রেক ওয়াটার বা স্রোত প্রতিরোধক তৈরি এবং জাহাজ চলাচলের পথ তৈরি তথা খননকাজের জন্য মূলত এই অর্থ ব্যয় করা হবে। বিশ্ব ব্যাংক বলছে বে টার্মিনাল প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য গেম চেঞ্জার হবেএ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প বে- টার্মিনাল। বিশ্বব্যাংকের সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন ‘বে টার্মিনাল’ প্রকল্পে গতি নিয়ে এসেছে। প্রকল্পের ব্রেক ওয়াটার বা স্রোত প্রতিরোধক তৈরি এবং জাহাজ চলাচলের পথ তৈরি তথা খননকাজের জন্য মূলত এই অর্থ ব্যয় করা হবে। বিশ্ব ব্যাংক বলছে বে টার্মিনাল প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য গেম চেঞ্জার হবে। এটি পরিবহন খরচ, সময় কমিয়ে বন্দরের সক্ষমতা বাড়াবে। বাংলাদেশের রপ্তানি সক্ষমতা বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনার বাজার খুলবে।
চট্টগ্রাম বন্দর সম্প্রসারণের অংশ হিসেবেই বন্দর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে পতেঙ্গা ও হালিশহর সমুদ্র উপকূলভাগের বিস্তীর্ণ ভূমি ও সাগর ঘেঁষে হচ্ছে বে-টার্মিনাল। এর পূর্ব পাশে আউটার রিং রোড এবং পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর। পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের খেজুরতলার বিপরীত থেকে কাট্টলী পর্যন্ত অংশে পলি জমে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি চর হয়েছে। এই চরকে কেন্দ্র করেই হচ্ছে বে-টার্মিনাল ।

প্রকল্প এলাকাটি লম্বায় প্রায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। বন্দর জলসীমার শেষ প্রান্তে চট্টগ্রাম ইপিজেডের পেছনের সাগরপার থেকে শুরু বে টার্মিনাল প্রকল্পের সীমানা, যার শেষ প্রান্ত রাসমণিঘাটে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে ২০১৫ সালে পতেঙ্গা – হালিশহর এলাকায় বে-টার্মিনাল
নির্মাণের প্রকল্প নেয়া হয়। যদিও এক দশকেও গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের অগ্রগতি ছিল খুব ধীর। বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতার কারণে গতি পাচ্ছে বে টার্মিনাল নির্মাণ।

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বে টার্মিনাল প্রকল্পের কাজ অনেক আগেই গতি পেয়েছে। এখন বিশ্বব্যাংকের ঋণ অনুমোদন গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে এসেছে। টার্মিনাল নির্মাণের আগে প্রথম কাজ হচ্ছে, ব্রেক ওয়াটার বা স্রোত প্রতিরোধক ও খননকাজ করে জাহাজ চলাচলের পথ তৈরি করা। বিশ্বব্যাংকের ঋণে এই কাজ হবে সবার আগে। সে জন্য ব্রেক ওয়াটার ও খননবিষয়ক উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব সরকারের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদনের পর এই কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে।
জোয়ার ভাটার উপর নির্ভরতার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে সব সময় জাহাজ ভিড়তে পারে না । চ্যানেলের পানির গভীরতাও কম হওয়ায় সর্বোচ্চ ১০ মিটার গভীরতা এবং ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের বড় জাহাজ প্রবেশ করতে পারে না। বে-টার্মিনাল হলে বন্দরে জাহাজ ভিড়তে আর জোয়ার ভাটার অপেক্ষায় থাকতে হবেনা। এখানে চ্যানেলের গভীরতা বেশি হওয়ায় সর্বোচ্চ ১২ মিটার গভীরতা এবং ২৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে। বে-টার্মিনাল প্রকল্পের আওতায় জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো নামানোর জন্য চারটি টার্মিনাল নির্মিত হবে। এর মধ্যে একটি মাল্টি পারপাস বা বহুমুখী ব্যবহার উপযোগী টার্মিনাল। দুটি কনটেইনার টার্মিনাল ও চতুর্থটি হবে তেল ও গ্যাস খালাসের টার্মিনাল ।

ভৌগোলিক অবস্থানগত সুবিধা এবং নৌ, রেল ও সড়কপথে সরাসরি সংযোগের কারণে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তিন টার্মিনাল অপারেটর এই টার্মিনাল নির্মাণে ইতিমধ্যে চার বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে প্রস্তুত । সব মিলিয়ে এই প্রকল্পে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে। এই টার্মিনালের জন্য ৫৬৭ একর জমি বুঝে পেয়েছে বন্দর। চলতি বছরেই এই টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরুর ব্যাপারে আশাবাদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিশ্বের শীর্ষ টার্মিনাল অপারেটররা নির্মাণ ও পরিচালনা করবে বে-টার্মিনাল । প্রস্তাবিত চারটি টার্মিনালের মধ্যে সিঙ্গাপুরের পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল, দুবাইয়ের ডিপি ওয়ার্ল্ড দুটি কনটেইনার টার্মিনাল ও এডি পোর্টের অর্থায়নে বন্দর মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ করবে। একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ইস্ট কোস্ট গ্রুপ লিকুইড বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ করবে।

প্রস্তাবিত বে টার্মিনালে চার হাজার একক কনটেইনারবাহী জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হবে । জাহাজও ভেড়ানো যাবে দিনরাত যেকোনো সময়। বে টার্মিনাল প্রকল্প এলাকা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত আউটার রিং রোডের পাশে। কাছাকাছি রয়েছে রেললাইন। আবার অভ্যন্তরীণ নদীপথেও বে টার্মিনাল থেকে সরাসরি যাওয়া যাবে সারা দেশে।

বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে ২২০০- ২৩০০ কনটেইনার ধারণক্ষমতার জাহাজ আসতে পারে। বে-টার্মিনালে ৫-৬ হাজার কনটেইনারবাহী জাহাজ আসতে পারবে। চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে ৫-৬ গুণ বড় হবে এই বে- টার্মিনাল। ১০০ বছরের মধ্যে আর নতুন করে বন্দর বাড়ানোর চিন্তা করা লাগবে না । এটি চালু হলে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে ব্যবসার খরচ কমবে।

চাটগাঁর চোখ/ এইচডি

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর