শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মারাত্মক অগ্নি ঝুঁকিতে রিয়াজউদ্দিন বাজার

চট্টগ্রামের পত্রিকা (২৯ জুন ২৪):  

মারাত্মক অগ্নি ঝুঁকিতে রিয়াজউদ্দিন বাজার। দৈনিক আজাদীর শিরোনাম এটি। চলতি বছর চট্টগ্রাম নগরের সবচেয়ে জনবহুল ও ব্যস্ত এলাকা রিয়াজউদ্দিন বাজারে দুই দফা অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ওই এলাকায় বড় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির আশঙ্কা করছিল ফায়ার সার্ভিস। তবে ব্যবসায়ীর কখনোই সে সতর্কবাণী কানে তোলেননি। উল্টো ফায়ার সার্ভিসের নিয়মিত কাজে বাধা এসেছে বিভিন্ন সময়। ওইসব ঘটনার পাঁচ মাসের মাথায় ২৭ জুন দিনগত রাতে অগ্নিকাণ্ডে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ‘চট্টগ্রামের অন্তত ৪৫টি মার্কেট ও ১০টি বাজার আগুনের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। এসংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- খাতুনগঞ্জসহ নগরের ৪২টি মার্কেটেও ঝুঁকি ব্যবসায়ীরা মানছেন না কোনো বিধিমালা নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার ও খাতুনগঞ্জসহ অন্তত ৪২টি মার্কেট আগুনের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। বারবার অগ্নিকাণ্ডের শিকার বৃহত্তর রিয়াজউদ্দিন বাজারের নাম রয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের তালিকায় সর্বাগ্রে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা কখনোই সতর্কবাণী কানে তোলেন না। উল্টো ফায়ার সার্ভিসের নিয়মিত কাজে বাধা এসেছে বিভিন্ন সময়। তবু এতটুকু ভ্রুক্ষেপ নেই কর্তাব্যক্তিদের। ফলে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে রিয়াজউদ্দিন বাজারে। গত বৃহস্পতিবার রাতে রিয়াজউদ্দিন বাজারে একটি মার্কেট ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দমবন্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ও ৮ ফেব্রুয়ারি দুই দফা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এই এলাকায়। এর পর থেকে ওই এলাকায় বড় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির আশঙ্কা করছিল ফায়ার সার্ভিস। সেইসব ঘটনার পাঁচ মাসের মাথায় ২৭ জুন রাতে তিনজনের মৃত্যু হলো।

ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের তালিকায় অগ্নিকাণ্ডের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে রিয়াজউদ্দিন বাজার। এই বাজারে ১০ হাজারের বেশি দোকান রয়েছে । অগ্নিঝুঁকিতে থাকা অন্যান্য মার্কেটগুলো হচ্ছে খাতুনগঞ্জ, জহুর মার্কেট, টেরিবাজার, তামাকুমন্ডি লেন, গোলাম রসুল মার্কেট, বাগদাদ ইলেকট্রিক সুপার মার্কেট, হাজি সরু মিয়া মার্কেট, নূপুর মার্কেট, সিঙ্গাপুর সমবায় মার্কেট, কর্ণফুলী মার্কেট, পোর্ট মার্কেট, বড় পুল বাজার, ইসা মিস্ত্রি মার্কেট, ফকিরহাট মার্কেট, নয়াবাজার মার্কেট, ফইল্যাতলি বাজার, চৌধুরী মার্কেট, মহাজন টাওয়ার, চকভিউ সুপার মার্কেট, কেয়ারি শপিং মল, গুলজার মার্কেট, আলী মার্কেট, মতি টাওয়ার, শাহেন শাহ মার্কেট, হুক মার্কেট, স্বজন সুপার মার্কেট, বখতেয়ার সুপার মার্কেট, নজু মিয়া হাট মার্কেট, বলির হাট মার্কেট, ভেড়া মার্কেট, চালপট্টি, শুটকিপট্টি, খাতুনগঞ্জ, আছদগঞ্জ, মিয়া খান পুরোনো জুট মার্কেট ও ওমর আলী মার্কেট, শেখ ফরিদ মার্কেট, যমুনা সুপার মার্কেট, ষোলশহর সুপার মার্কেট, ইমাম শপিং কমপ্লে এবং চট্টগ্রাম শপিং কমপ্লে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক জানান, এই মার্কেটগুলোর বেশির ভাগই গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে। বিশেষ করে রিয়াজউদ্দিন বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ। কারণ এখানে একটি মার্কেটের সাথে আরেকটি মার্কেটে কোনো ফাঁকা জায়গা নেই। দুইশো মার্কেটই মনে হয় এক ছাদের নিচে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো একসাথে কাজ না করলে এই মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড থেকে বড় ধরনের ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া তালিকায় থাকা অধিকাংশ মার্কেটের গুলি সরু। পানিও পাওয়া যায় না। ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় এসব এলাকায় যন্ত্রপাতি নিয়ে দ্রুত পৌঁছানোও কঠিন। আমরা ব্যবসায়ীদের প্রায় সময়ই সচেতন করি। কিন্তু সচেতন হন না। কেউ হাজার টাকা দিয়ে একটি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রও কেনেন না। অথচ পরে হারান লাখ টাকার জিনিস, যোগ করেন তিনি।

আইনে অগ্নি নির্বাপনে তিন স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। প্রথম স্তরের মধ্যে রয়েছে প্রত্যেক ৫৫০ বর্গফুটের জন্য একটি করে ফায়ার এটিংগুইসার (অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র) রাখতে হবে। এটির ওজন ৫ কেজির কম নয় আবার ৮ কেজির বেশি নয়। দ্বিতীয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রয়েছে প্রতি ১০ হাজার বর্গফুটে একটি করে হোস রিলস (পানি চলাচলের পাইপ) এবং তৃতীয় স্তরে রয়েছে একটি হাইডেন কাম রাইজার, একটি ডিজেল চালিত পাম্প ও পানির চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য জোকি মেশিন থাকতে হবে। অধিকাংশ আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের নিরাপত্তা বিধি মানা হলেও ব্যয়ু সংকোচনের জন্য মানা হচ্ছে না তৃতীয় স্তরের নিরাপত্তা বিধি। অথচ এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার, তামাকুমন্ডি লেন ও জুহুর হকার্স মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, এসব মার্কেটের সড়কগুলো এত সরু ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক গাড়ি প্রবেশের কোনো সুযোগ নাই। এছাড়া আগুন নেভানোর জন্য পানির কোনো উৎস নেই। অথচ এসব মার্কেটে ইলেকট্রনিড়, কাপড়, জুতো, কসমেটিকস এবং নানা ধরনের পণ্য সামগ্রীর প্রায় দুই হাজারের অধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অন্যদিকে বেশিরভাগ মার্কেটের দ্বিতীয় তলা থেকে উপরের দিকে গুদাম এবং কোনো কোনো ভবনের উপরের অংশ আবাসিক হিসেবেও ব্যবহার হচ্ছে। আবার দেখা যায়, মার্কেট ও ভবনগুলোর গা ছুঁয়েই বিদ্যুতের তার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কোনো কারণে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এসব মার্কেটে আগুন লাগলে বিপুল পরিমাণ সম্পদহানির আশঙ্কা আছে। ভবন থেকে বের হতে না পেরে ধোঁয়ার কারণেও মৃত্যুর আশঙ্কা আছে, যা গত ২৭ জুন সত্য হলো তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।

ফায়ার সার্ভিসের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, প্রত্যেকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ফায়ার এডটিংগুইশার রাখার কথা আইনে বলা হলেও কিন্তু অধিকাংশ ব্যবসায়ী সেই আইন মানেন না। অনেক প্রতিষ্ঠানে ফায়ার এটিংগুইশার থাকলেও তা মেয়াদোত্তীর্ণ। এছাড়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে ফায়ার লাইসেন্স নেই। অগ্নিকাণ্ড রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে শপিং সেন্টারগুলোতে স্বয়ংসম্পূর্ণ অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা থাকা, জরুরি প্রস্থানের সিঁড়ির সংখ্যা ও ছয়তলার ওপরে প্রতি তলায় সেফটি লবির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে বৈদ্যুতিক তারে কনসিল ওয়্যারিং থাকা, বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ বঙ ও ডিমান্ড বজ্রে নিরাপদ অবস্থানে থাকা এবং স্মোক ও হিট ডিটেক্টর এবং মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মীদের নিয়মিত অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। অন্যদিকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রাসায়নিক দাহ্য পদার্থ রাখার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট বিধিমালা থাকলেও ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না ।

ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু। দৈনিক আজাদীর শিরোনাম এটি। চট্টগ্রাম নগরের বৃহত্তম বাজার রিয়াজউদ্দিন বাজারে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আগুনের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আগুন লাগার পর ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে এ তিনজনের মৃত্যু হয় বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে। এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে-এসংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে গভীর রাতে একটি মার্কেট ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৪০ মিনিটে রিয়াজউদ্দিন বাজারের মোহাম্মদীয়া প্লাজা মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ব্রাদার্স টেলিকম নামের একটি দোকান থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় । খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ, লামারবাজার, নন্দনকানন ও চন্দনপুরা স্টেশনের ৮টি ইউনিট ভোর সাড়ে ৫টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। নিহতরা হলেন সাতকানিয়া উপজেলার মো. সাহেদ মিয়া (১৮), একই উপজেলার মো. ইকবাল (১৯) ও মো. রিদুয়ান (৪৫)। নগরীর সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র রিয়াজউদ্দিন বাজার গড়ে উঠেছে কয়েক বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে। যেখানে রয়েছে ছোট- বড় শতাধিক মার্কেট, যেগুলো একটি লাগোয়া আরেকটির সঙ্গে। এখানকার মার্কেটের ভেতরের রাস্তাগুলো খুব সরু। মোট ১১০টি মার্কেট আছে। এর মধ্যে দুটি মোহাম্মদীয়া প্লাজা ও রেজোয়ান কমপ্লেক্স। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে তামাকুমন্ডি লেইনের ৮ তলা বিশিষ্ট মোহাম্মদীয়া কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর তা পাশের রেজোয়ান মার্কেটেও ছড়িয়ে পড়ে। মার্কেটটিতে সিঁড়ি একটিই ছিল । দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর ওই সিঁড়ি দিয়ে কেউ বের হতে পারেননি। পরে ধোঁয়ায় ওপরের মেসে থাকা কর্মচারীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুক্রবার মার্কেটের দোকানপাট বন্ধ, তাই আগের দিন রাতে তেমন লোকজন না থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। তাঁরা আরও জানান, মার্কেটটির প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় মোবাইল এড্সেরিজ, তৃতীয় তলা থেকে অফিস, গুদাম ও মেস আছে। বিভিন্ন দোকানের কর্মচারীরা ওই মেসে থাকতেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক জানান, আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ভোর সাড়ে ৫টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে প্রথমে একজনের (সাহেদ) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বাকিদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দুজন (ইকবাল ও রিদুয়ান) মারা যান। আগুনের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে মার্কেটের গলি সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিস ঠিকমতো উদ্ধার অভিযান চালাতে পারেনি, এমনটা জানান তিনি। ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, আগুন লাগার কারণ আপাতত মনে হচ্ছে শর্টসার্কিট। ক্ষয়ক্ষতি তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল আলম আশেক বলেন, হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে তারা মারা গেছেন। এছাড়া ধোঁয়ায় অসুস্থ দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতরা হলেন, যশোরের মনিরামপুর এলাকার মোহাম্মদ আনিছুর রহমানের শিশু কন্যা জান্তাতুল আক্তার হাজেরা ও স্ত্রী মেরিনা পারভীন। নিহতদের নামাজে জানাজা শুক্রবার বিকেল চারটায় নগরীর চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে রিয়াজউদ্দিন বাজারে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম-৯ আসনের এমপি ও শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সেইসঙ্গে এ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবার ও অগ্নিদগ্ধদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন শিক্ষামন্ত্রী। এক শোকবার্তায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে সেই জন্য তিনি প্রশাসন, ব্যবসায়ী সমিতি ও কর্মচারীদের সচেতন ও সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন। এদিকে ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। এ সময় তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।

রিয়াজউদ্দিন বাজার তামাকুমন্ডি লেইনে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের দেখতে চমেক হাসপাতালে যান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। শুক্রবার সকালে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হওয়া রোগীদের সমবেদনা জানান মেয়র। এসময় তিনি দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ জরুরি ভিত্তিতে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন এবং চিকিৎসাধীনদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। মেয়র নিহতদের জন্য শোক জানান এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। হতাহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা জেলা প্রশাসনের : এদিকে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় আহতদের ১৫ হাজার টাকা করে চিকিৎসা সহায়তা ও নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে এ সহায়তা দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আজাদীকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল একটি মার্কেট। সেখানে মানুষ কীভাবে বসবাস করে; এসব বিষয় আমরা খতিয়ে দেখব। এ জন্য ব্যবসায়ীদের সাথে আমরা বসব এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

হালদায় অশনি সংকেত দৈনিক পূর্বকোণের শিরোনাম এটি। নদীদূষণ, বিষ প্রয়োগ, রাবার ড্যামে জমে থাকা রাসায়নিক ও কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি এবং জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়া- এ চার কারণে হালদায় মা মাছ ও ডলফিনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হচ্ছে -এসংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- এক সপ্তাহের ব্যবধানে হালদা নদীতে মারা গেছে ৪টি রুই জাতীয় মা মাছ ও একটি ডলফিন।বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক ধারণা, মূলত চার কারণে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদায় এ অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
কারণগুলো হচ্ছে- নদীদূষণ, মাছ শিকারের জন্য বিষ প্রয়োগ, রাবার ড্যামে জমে থাকা রাসায়নিক ও কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি এবং মা মাছ জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত। এজন্য আরও স্বচ্ছ ধারণা নিতে মাঠপর্যায় থেকে উচ্চপর্যায়ে বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে তদন্ত টিম গঠনেরও দাবি উঠেছে।
হালদা নদীর হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের কুমারখালী এলাকা থেকে গতকাল শুক্রবার দুটি কাতল ব্রুড মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে একটির ওজন ১০ কেজি এবং দৈর্ঘ্য ৫৮ সেন্টিমিটার, অপরটির ওজন সাড়ে ১২ কেজি। এটির দৈর্ঘ্য ৯৮ সেন্টিমিটার। ১০ কেজি ওজনের মাছটি পচে যাওয়ায় মাটিচাপা দেওয়া হয়। মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণের জন্য ১২ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের কাতল মাছটি হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২৬ জুন হালদা নদীর রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের বাকর আলী চৌধুরী ঘাট এলাকায় ১০ কেজি ওজনের একটি মা রুই মাছ মরে ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা এটি উদ্ধার করে মাটিচাপা দেয়। এটি উদ্ধারের কয়েকদিন আগে আরও একটি ১২ কেজি ওজনের মরা কাতল নদীতে ভেসে এলে সেটিও ডাঙায় তুলে মাটিচাপা দেয় স্থানীয়রা।

তাছাড়া গত ২৬ জুন হাটহাজারীর গড়দুয়ারা ইউনিয়নের সিপাহীরঘাট এলাকা থেকে নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয় । এটি উদ্ধার করে ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (আইডিএফ) কর্মীরা। এ নিয়ে গত সাড়ে পাঁচ বছরে হালদা থেকে ৪১টি মৃত ডলফিন উদ্ধার হয়। এর আগে সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর হালদা নদী থেকে একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছিল।

হালদার স্বেচ্ছাসেবী রাউজানের উরকিরচর ইউনিয়নের বাসিন্দা মুহাম্মদ মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, নদীতে আগে যান্ত্রিক নৌযানের পাখীর আঘাতে ডলফিন ও মা মাছ মরে ভেসে উঠতো। এখন ভেসে ওঠা মা মাছ ও ডলফিনে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যাচ্ছে না। মূলত নদীর হাটহাজারী অংশে যে ৪টি খাল হয়ে নগরীর বিভিন্ন কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য হালদা নদীতে পড়ছে, এসবের বিষ • ক্রিয়ায় মা মাছ ও ডলফিন মারা যেতে পারে। হালদার ডিম সংগ্রহকারী হাটহাজারীর গড়দুয়ারা ইউনিয়নের নতুনহাট এলাকার বাসিন্দা মো. কামাল উদ্দিন সওদাগর দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, হালদা নদীর শাখা খালের মুখে সুইচ গেট এলাকায় কিছু কুম রয়েছে। এসব এলাকায় বিষ ঢেলে মাছ শিকার করে অসাধু ব্যক্তিরা। খালে ফেলা এসব বিষ নদীকে দূষণ করছে। ফলে মা মাছ মৃত্যুর মুখে পড়ছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ৭ মে হালদায় সীমিত আকারে ডিম ছাড়ে মা মাছ । তাতে প্রায় ২০০ নৌকা নিয়ে হালদায় ডিম সংগ্রহ করেন আহরণকারীরা। পরে তা পরিচর্যা করে আহরণকারীরা প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ কেজি রেণু পান। অথচ আগের বছর ২০২৩ সালে রেণু পাওয়া যায় প্রায় ৪৩৭ কেজি। স্বাভাবিকভাবে ডিম সংগ্রহকারীরা আশা করেছিলেন পরবর্তী ‘জো’গুলোতে আরও ডিম পাওয়া যাবে। কিন্তু গত ২৫ জুন ডিম দেওয়ার সর্বশেষ ‘জো’ ভরা পূর্ণিমা শেষ হয়ে গেলে আশাহত হন ডিম সংগ্রহকারীরা হালদা বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ, ডিম দেওয়ার দু’দিন আগে হালদা নদীর ফটিকছড়ির ভূজপুর ও হারুয়ালছড়ি এলাকার দুই রাবার ড্যামের পানি ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে রাবার ড্যামে ৬ মাস ধরে জমে থাকা রাসায়নিক ও কেমিক্যাল হালদা নদীর পানির সাথে মিশে একাকার হয়ে যায়। তাতে ৭ মে মা মাছ নদীতে স্বাভাবিক পরিবেশ না পেয়ে ডিম ছাড়েনি। তাছাড়া মা মাছ নদীতে পুরো ডিম ছেড়ে দিতে না পারলে প্রাকৃতিকভাবে এগুলো নিজ শরীরে ধারণ করে ফেলে। কিন্তু পানির গুণাগুণ ও পরিবেশগত কোন সমস্যা থাকলে এ শারীরবৃত্তীয় কাজটি সম্পন্ন করার সময় অনেকক্ষেত্রে মা মাছ জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, হালদা নদীতে বিগত দুই বছর পরে কয়েকদিনের ব্যবধানে চারটি ব্রুড মাছ এবং একটি ডলফিনের মৃত্যু একটি অস্বাভাবিক ঘটনা । আরও একটি হতাশাজনক বিষয় ২০১৬ সালের পর হালদা নদীতে এ বছর সবচেয়ে কম পরিমাণ ডিম দিয়েছে, যা পরিমাণে নমুনা ডিমের চেয়ে একটু বেশি।

তিনি বলেন, শাখা খালসমূহের দূষণের কারণে পরিবেশগত বিপর্যয় এবং বিষ প্রয়োগে মাছ মারার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়া প্রাথমিকভাবে অন্যতম কারণ বলে মনে করি । তবে হালদা নদী রক্ষার জন্য বিষয়টিকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। এই বিপর্যয় রোধে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কারণ উদ্ঘাটনের দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, তাছাড়া সর্তা খালের উজানে ছিপাতলী, তেলপারই খালের মুখ, পেশকারহাট এলাকায় পেশাদার বড়শি দিয়ে মাছ ধরার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব এলাকায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে প্রশাসনিক নজরদারি বাড়াতে হবে।

পেকুয়ায় সংঘর্ষে ৬ জন গুলিবিদ্ধ, আহত ২০। দৈনিক সুপ্রভাতের শিরোনাম এটি। পেকুয়া  বাজারে বাজারে আধিপত্য বিস্তারের জের সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের দুপক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষের। পেকুয়া  বাজারে পরিস্থিতি থমথমে -এসংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- পেকুয়ায় সিএনজি অটোরিকশা স্টেশন দখল বেদখলের আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের দুপক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় ১৫- ২০ জন শ্রমিক আহত হয়। আহতদের মধ্যে পথচারীও রয়েছে। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে থানা পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার দুপুর ৩ টায় পেকুয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লাঘোনা এলাকার বদিউল আলমের ছেলে আবদুল কুদ্দুস মনু (৪০), পূর্ব গোঁয়াখালী এলাকার গিয়াস উদ্দিন এর ছেলে নয়ন (২৩), আন্নর আলী মাতবর পাড়া এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে নেজাম উদ্দিন (৪৫), একই এলাকার শওকত হোসেন। বাকীদের (২২) নাম জানা যায়নি। আহতরা হলেন, মিয়াপাড়া এলাকার নুরুল হোসেন এর ছেলে মোজাম্মেল, পূর্ব গোঁয়াখালী এলাকার আনছার উদ্দিনের ছেলে আতিক আহমদ, বারবাকিয়া পূর্ব জালিয়াখালি মোহাম্মদ সেকান্দর ছেলে মোক্তার আহমদ,আবুল বশরের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান,বারবাকিয়া ইউনিয়নের বুধামাঝির ঘোনা এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে সাদ্দাম হোসেন, পশ্চিম বারবাকিয়া এলাকার আব্দুল মোতালেবের ছেলে জাহেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাজেম উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ রুবেল, শফিউল্লাহ ছেলে মোরশেদ, মোহাম্মদ আলমের ছেলে তাউসিফ, আব্দুল মোনাফের ছেলে মোহাম্মদ রাজিব, আক্কাস উদ্দিনের ছেলে মিনহাজ, আলতাসের ছেলে বাবু, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ হালু(২৫) এবং মৃত মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে জিয়াবুল(১৮)।

জানা গেছে, সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক সংগঠন নিয়ে পেকুয়ায় দুটি গ্রুপের মধ্যে সম্প্রতি দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। আধিপত্য বিস্তার ও টিকিট কাউন্টার দখল বেদখল নিয়ে তাদের এ বিরোধ। কক্সবাজার জেলা অটোরিকশা সিএনজি অটোটেম্পু সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি১৪৯১ এর পক্ষে নেতৃত্বে দিয়ে আসছিলেন নাছির উদ্দিন ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.বারেক। তারা দীর্ঘ এক যুগ ধরে শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি শ্রমিক নেতা মো.রফিক ও রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন মিলে বাংলাদেশ অটোরিক্সা সিএনজি শ্রমিকলীগ রেজি নং২০৪৪ এর পেকুয়ার কমিটি সিএনজি শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব দেন । দুই রফিকের নেতৃত্বে শ্রমিকরা গত কিছুদিন আগে উপজেলার ৯টি টিকিট কাউন্টার দখল নেয়। ঘটনার দিন দুপুরে ও দুই রফিক কয়েকজন শ্রমিক ও কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে ফাঁসিয়াখালী স্টেশনে গিয়ে টিকেট ও লাইনম্যান দিয়ে কাউন্টার দখল করতে গেলে সংঘর্ষ লেগে যায়। আধিপত্য ও কাউন্টার দখল বেদখলকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী শ্রমিকরা জানান, নাছির ও বারেকের নেতৃত্বে সিএনজি সংগঠন দখল করে দীর্ঘদিন ধরে নিরীহ সিএনজি শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে আসছিলো। নতুন একটি সিএনজি লাইনে দিলে তাদের পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়েছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অটোরিক্সা সিএনজি শ্রমিকলীগ পেকুয়ার সভাপতি মো.রফিক বলেন, শ্রমিক পরিচয় দিয়ে একযুগ ধরে একটি সিন্ডিকেট চাঁদাবাজিতে মেতে ছিল। তাঁরা শ্রমিকের রক্ত চুষে খেয়েছে। কিছুদিন আগে প্রকৃত শ্রমিকরা তাদের বিতাড়িত করে। সকালে ১০-১৫ জনের অস্ত্রধারী পেকুয়া বাজারে এসে লাইনম্যানদের মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে দুটি কাউন্টারে টোকেন দেওয়া শুরু করে। দুপুরে ফের বাজারে এসে তারা ত্রাস সৃষ্টি করে। এ সময় শ্রমিকরা বাঁধা দিলে তাদের উপর মামুনুর রশীদ, মির্জা বাহাদুর, হানিফ, হারুনসহ বেশ কয়েকজন অসূত্রধারী সন্ত্রাসী এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।
অপর দিকে কক্সবাজার জেলা অটোরিকশা সিএনজি অটোটেম্পু সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের পেকুয়ার সভাপতি নাছির উদ্দীন জানান সিএনজি কাউন্টার দখল করতে জয়নাল, হেলালসহ বেশ কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী আমার সিএনজি শ্রমিকদের উপর অহেতুক গুলিবর্ষণ করে কাউন্টার দখল করতে চেষ্টা করে। তারা কোন শ্রমিক সংগঠনের কেউ নই এবং তারা কোন শ্রমিক নই। সাধারণ সম্পাদক বারেক ভাই বর্তমানে ঢাকায় ব্যবসায়িক কাজে গিয়েছেন।

এদিকে সৃষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাজার এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া, গুলি বর্ষণের ঘটনায় প্রায় তিন ঘণ্টা দোকানপাট বন্ধ ছিল । পরে পেকুয়া থানা পুলিশ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

চাটগাঁর চোখ/ এইচডি

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর