চট্টগ্রামের পত্রিকা (৩ জুন ২৪):
হাট বাড়েনি, বাড়ছে আয় দৈনিক আজাদীর শিরোনাম এটি । চসিকের কোরবানি পশুর অস্থায়ী হাটের সংখ্যা বাড়ছে না। গতবারের মতো এবারও সাতটি অস্থায়ী পশুর হাট বসবে এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়-চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ব্যবস্থাপনায় এবার নগরে কোরবানি পশুর অস্থায়ী হাটের সংখ্যা বাড়ছে না। গতবারের মতো এবারও সাতটি অস্থায়ী পশুর হাট বসবে। হাটগুলোর জন্য ইজারাদার চূড়ান্ত করেছে সংস্থাটি। ইজারা দিয়ে এসব হাট থেকে গতবারের চেয়ে ২ কোটি ৬২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭০ টাকা বেশি রাজস্ব আয় হচ্ছে চসিকের। সরকারি মূল্যের চেয়ে যা ১ কোটি ৭৬ লাখ ৭৭ হাজার ১৩৭ টাকা বেশি। চসিকের রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা গেছে, অস্থায়ী হাটগুলোতে ইজারাদার নিয়োগে গত ২০ মে দরপত্র আহ্বান পশুর হাট গতবারের চেয়ে ২ কোটি ৬২ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আয় হচ্ছে করা হয়। ৩০ মে ছিল দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এবার সাতটি বাজারের বিপরীতে ১৭১টি দরপত্র বিক্রি হলেও জমা পড়ে ২৬টি দরপত্র জমা পড়ে। যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল সর্বোচ্চ দরদাতাকে ইজারাদার হিসেবে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। এতে সাতটি বাজার থেকে চসিকের আয় হবে ৫ কোটি ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭০ টাকা গতবার (২০২৩) একই বাজারগুলো থেকে আয় হয়েছিল ২ কোটি ৬২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭০ টাকা। এর আগে ২০২২ সালে মাত্র তিনটি বাজার থেকে আয় হয় ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। জানা গেছে, দরপত্র আহ্বানের সময় হাটগুলোর জন্য একটি সরকারি মূল্য নির্ধারণ করা হয়। বিগত তিন বছরের গড় মূল্যের ওপর ৬ শতাংশ বৃদ্ধি করে এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়। ওই হিসেবে এবার সরকারি মূল্য ছিল ৩ কোটি ২৯ লাখ ৫৭ হাজার ২৩৩ টাকা। অর্থাৎ এবার বাজার ইজারা দিয়ে সরকারি মূল্যের চেয়েও বেশি আয় হচ্ছে চসিকের চসিকের স্টেট অফিসার রেজাউল করিম সর্বোচ্চ দরদাতাকে ইজারাদার হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে বলে আজাদীকে নিশ্চিত করেন। কোন বাজারের বিপরীতে কত রাজস্ব : এবার কর্ণফুলী পশুর বাজার (নুর নগর হাউজিং এস্টেট অথবা বহদ্দারহাট এক কিলোমিটার হতে শাহ আমানত ব্রিজের উত্তর পাশ পর্যন্ত) থেকে চসিকের রাজস্ব আদায় হবে ২ কোটি ২০ হাজার টাকা, যা গতবার ছিল ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর আগে ২০২২ সালে ৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, ২০২১ সালে ২ কোটি ২০ হাজার টাকা এবং ২০২০ সালে ২ কোটি ৩৭৭ টাকা রাজস্ব পায় চসিক। অস্থায়ী পশুর হাটটি ইজারা দিয়ে গতবারের চেয়ে আয় বাড়লেও সরকারি মূল্যের চেয়ে রাজস্ব কমেছে। এবার সরকারি মূল্য ছিল ২ কোটি ৭২ লাখ ৮৪ হাজার ৫৩৩ টাকা। এ বিষয়ে চসিকের স্টেট অফিসার রেজাউল করিম বলেন, কর্ণফুলী অস্থায়ী পশুর বাজারের স্থানটিতে জায়গার স্বত্বাধিকারী নুর নগর হাউজিং এস্টেট কর্তৃপক্ষ কিছু কিছু প্লটে ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছেন। অন্যদিকে কর্পোরেশনের বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় বাজার স্থাপনের জায়গাটি সংকুচিত হয়ে পড়েছে। বাজারের ইজারামূল্য ক্রমে বৃদ্ধি পাওয়ায় ইজারাদারগণ থেকে কাঙ্ক্ষিত সরকারি মূল্যের বেশি দর পাওয়া যায়নি। পুনরায় দরপত্র আহ্বানের সময় না থাকায় চসিকের রাজস্ব হারানোর আশঙ্কা থেকে গতবারের মূল্যের চেয়ে বেশি প্রাপ্ত সর্বোচ্চ দর গ্রহণ করে ইজারা প্রদানের বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সুপারিশ করা হয়।
এদিকে বাকি ছয় পশুর হাটের মধ্যে ৪১ নং ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠের বিপরীতে ৫০ লাখ টাকা আয় হবে। গতবার আয় হয় ১৫ লাখ টাকা। ২০২২ সালে বাজারটি ইজারা দেওয়া হয়নি। এর আগে ২০২১ সালে এ বাজার ইজারা দিয়ে ২৬ লাখ টাকা রাজস্ব পায় চসিক। ৪০ নং উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের পূর্ব হোসেন আহম্মদ পাড়া সাইলো রোডের পাশে টিএসপি মাঠে বসা হাটের বিপরীতে ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ টাকা আয় হবে। গতবার আয় হয় ১১ লাখ ৫১ হাজার টাকা। একই ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ রোডের সিআইপি জসিমের খালি মাঠে বসা হাটের বিপরীতে এবার ২ লাখ টাকায় আয় হবে। এ বাজারে গতবার আয় হয় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এবার ২৬ নং ওয়ার্ডের বড়পোল সংলগ্ন গোডাউনের পরিত্যক্ত মাঠে বসা হাট ইজারা দিয়ে ১৬ লাখ ২ হাজার ৩৭০ টাকা আয় হবে। গতবার আয় হয় ৪ লাখ টাকা। ৩ নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের ওয়াজেদিয়া মোড়ে হাট ইজারা দিয়ে এবার ২ লাখ ৫১ হাজার টাকা আয় হবে । গতবার ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা আয় হয়। ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের আউটার রিং রোডস্থ সিডিএ বালুর মাঠে বসা হাট ইজারা দিয়ে এবার আয় হবে ২ কোটি ২১ লাখ টাকা। গতবার ১৫ লাখ টাকা রাজস্ব পায় চসিক। চসিকের রাজস্ব শাখার তথ্য অনুযায়ী, এবার নয়টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রস্তাবিত এসব অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি চেয়ে ৯ এপ্রিল জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করে সংস্থাটি। চসিকের কাছ থেকে আবেদন পাওয়ার পর জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশের কাছে হাটগুলোর বিষয়ে মতামত চেয়ে ৫ মে চিঠি দেয়। তবে প্রস্তাবিত নয়টি অস্থায়ী পশুর হাটের মধ্যে দুটি নিয়ে আপত্তি জানায় পুলিশ। এর মধ্যে নগর পুলিশ একটি এবং জেলা পুলিশ একটি হাট নিয়ে আপত্তি জানায়। পরে ১৫ মে জেলা প্রশাসন ১৪ শর্তে চসিককে সাতটি বাজার বসানোর অনুমতি দেয়। অবশ্য অস্থায়ী হাটগুলোর বাইরে চসিকের ব্যবস্থাপনায় তিনটি স্থায়ী পশুর হাট আছে নগরে। এগুলো হচ্ছে সাগরিকা পশুর বাজার, বিবিরহাট গরুর হাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে প্রতি বছর ১ থেকে ১০ জিলহজ্ব পর্যন্ত চসিকের ব্যবস্থাপনায় নগরে কোরবানি পশুর স্থায়ী-অস্থায়ী হাট বসে। এবারও চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুন থেকে হাট বসার কথা ।
জ্বালানি নিরাপত্তায় ব্যবহার হবে বে টার্মিনালের ৪র্থ টার্মিনাল দৈনিক আজাদীর শিরোনাম এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- বে টার্মিনালের চতুর্থ টার্মিনালটিও জ্বালানি তেল, এলপিজি এবং এলএনজি খালাসের জন্য ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে বিনিয়োগ করবে দেশীয় প্রতিষ্ঠান দেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় বে টার্মিনাল ব্যবহার করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বঙ্গোপসাগরে জাহাজ থেকে পাইপ লাইনে জ্বালানি তেল খালাস, কুতুবদিয়া থেকে পাইপ লাইনে চট্টগ্রামে জ্বালানি তেল সরবরাহ কিংবা মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করার পর এবার বে টার্মিনালের চতুর্থ টার্মিনালটিও জ্বালানি তেল, এলপিজি এবং এলএনজি খালাসের জন্য ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশীয় বিনিয়োগে এই টার্মিনালটি নির্মিত হবে। আজম জে চৌধুরীর মালিকানাধীন ইস্ট কোস্ট গ্রুপ এই লিকুইড টার্মিনালটি নির্মাণ করবে।
বন্দর সূত্র জানিয়েছে, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে নির্মাণাধীন বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে গতি ফিরছে। ভূমি সংকটের বড় অংশ ঘুচে যাওয়ার পর বে টার্মিনালের নির্মাণ পথের বড় অন্তরায় দূর হয়েছে। বে টার্মিনাল প্রকল্পে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে অন্তত পাঁচগুণ বড় বে টার্মিনালে ইতোপূর্বে তিনটি টার্মিনাল
নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। যার দুইটি বিদেশী বিনিয়োগে এবং একটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের। কিন্তু পরবর্তীতে সরকারের নীতিনির্ধারক মহল বে টার্মিনালে চারটি টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এরমধ্যে চতুর্থ টার্মিনালটি দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গ্যাস ও অয়েল টার্মিনাল হিসেবে নির্মাণ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী আজম জে চৌধুরীর মালিকানাধীন ইস্ট কোস্ট গ্রুপ এই টার্মিনালে বিনিয়োগ করবে। চতুর্থ টার্মিনালটিকে লিকুইড টার্মিনাল হিসেবে নির্মাণ করে এখানে জ্বালানি তেল, এলপিজি এবং এলএনজি খালাস করা হবে। এই টার্মিনালটি দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার সক্ষমতাকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলেও বন্দরের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা মন্তব্য করেছেন।
সূত্র বলেছে, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেল একটি বড় ইস্যু। যে কোনো দেশের ৯০ দিনের জ্বালানি তেল মজুদ করার সক্ষমতাসহ অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধাকেই জ্বালানি নিরাপত্তা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশের জ্বালানি তেল মজুদের সক্ষমতা মোটামুটি ৩০-৩৫ দিনের। এই নিরাপত্তা বাড়াতে ইতোমধ্যে সরকার পাঁচ হাজার কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপ লাইন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। কাজারের কুতুবদিয়ার অদূরে গভীর সমুদ্রে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং’ নির্মাণ করা হয়। ওখান থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত অফ শোর এবং অনশোর মিলে মোট ২২০ কিলোমিটার ডাবল পাইপলাইন স্থাপন করা হয়। এরমধ্যে ১৪৬ কিলোমিটার অফশোর পাইপলাইন এবং ৭৪ কিলোমিটার অনশোর পাইপলাইন রয়েছে । প্রকল্পের আওতায় পাইপ লাইন ছাড়াও মহেশখালীতে ১ লাখ ২৫ হাজার টন ক্রুড অয়েল এবং প্রায় ৮০ হাজার টন ডিজেল সংরক্ষণের ট্যাংক নির্মাণ করা হয়। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত ক্রুড অয়েল এবং ডিজেল ওই দুইটি ট্যাংকে সংরক্ষণ করে ওখান থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী দুইটি পাইপ লাইনের একটি দিয়ে ক্রুড অয়েল ইস্টার্ণ রিফাইনারিতে এবং অপর পাইপ লাইন দিয়ে ডিজেল পদ্মা অয়েল কোম্পানি, যুমনা অয়েল কোম্পানি এবং মেঘনা পেট্রোলিয়ামের পতেঙ্গার গুপ্তাখালস্থ প্রধান ডিপোতে পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় মাইলফলক বলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) সূত্র জানিয়েছে। দেশে বর্তমানে বছরে প্রায় ৭৫ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। প্রতিমাসে দেশে গড়ে ছয় লাখ টনেরও বেশি জ্বালানি তেল প্রয়োজন হয়। এতো তেল মজুদের সক্ষমতা বিপিসির নেই। তাই বন্দরের বে টার্মিনালের চতুর্থ টার্মিনালকে ঘিরে জ্বালানি মজুদসহ নানা ধরনের অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। এতে প্রায় ৩৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হবে। বিদেশী একটি প্রতিষ্ঠানকে ইস্ট কোস্ট গ্রুপ সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সঙ্গে নেবে বলেও সূত্র জানিয়েছে । এই টার্মিনালটি নির্মিত হলে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা সুদৃঢ় হবে মন্তব্য করে সূত্র বলেছে, বে টার্মিনালের প্রথম দুইটি টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হবে ১৫০ কোটি ডলার করে মোট ৩০০ কোটি ডলার। সিঙ্গাপুরের পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল (সিঙ্গাপুর পোর্ট) এবং আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ড এই দুইটি টার্মিনাল নির্মাণের সমুদয় অর্থ বিনিয়োগ করবে। এছাড়া আবুধাবি পোর্টস ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগে একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ করবে। চতুর্থ টার্মিনালটিতে সবচেয়ে বেশি অর্থ বিনিয়োগ হবে উল্লেখ করে বন্দর সূত্র বলেছে, এটি লিকুইড টার্মিনাল হিসেবে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক গতকাল দৈনিক আজাদীকে বলেন, বে টার্মিনালের চতুর্থ টার্মিনালটি হবে লিকুইড টার্মিনাল। দেশীয় কোম্পানি ইস্ট কোস্ট গ্রুপ বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে এই টার্মিনাল নির্মাণ করবে বলে তিনি জানান।
এলএনজি সরবরাহ নেমেছে অর্ধেকে খবরটি দৈনিক পূর্বকোণের। বন্ধ হয়ে গেছে দুই টার্মিনালের একটি। ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে টার্মিনালটির দুটি ফ্লোটিং স্টোরেজ এন্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটের (এফএসআরইউ) একটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়-
মহেশখালীর অদূরে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান সামিটের মালিকানাধীন এলএনজি টার্মিনাল দিয়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে টার্মিনালটির দুটি ফ্লোটিং স্টোরেজ এন্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটের (এফএসআরইউ) একটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান দেশে আমদানি করা এলএনজি কার্গো মহেশখালীতে স্থাপন করা দুই ভাসমান টার্মিনাল দিয়েই খালাস করা হয়। এর একটি মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির ‘এক্সিলেন্স’। অন্যটি দেশীয় সামিট প্রাইভেটের মালিকানাধীন ‘সামিট’। এ দুই টার্মিনালের রিগ্যাসিফিকেশন ক্যাপাসিটি এখন দৈনিক ১ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটের কাছাকাছি। তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় একটি ভাসমান পন্টুন এসে কক্সবাজারের মহেশখালীতে সামিটের এলএনজি টার্মিনালের এফএসআরইউতে আঘাত করে। এতে একটি এফএসআরইউর ব্যালাস্ট ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ওই টার্মিনাল দিয়ে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা দেওয়া হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সামিট জানায়- এলএনজি বিস্ফোরক প্রকৃতির পদার্থ হওয়ায় টার্মিনালটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে এফএসআরইউর গুরুত্ব বিবেচনায় এবং টার্মিনালের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালুর আগে সমস্যা সমাধানের জন্য সামিট পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল প্রটোকল অনুযায়ী, একজন বিশেষজ্ঞ সার্ভেয়ার ক্ষতি নিরূপণ করবেন। তার প্রতিবেদন পাওয়ার পর সামিটের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। এ বিষয়ে আরপিজিসিএল ও পেট্রোবাংলার সঙ্গে সামিট কর্তৃপক্ষ সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
পেট্রোবাংলার পরিচালক প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সামিটের টার্মিনালের একটি এফএসআরইউ দিয়ে গ্যাস সরবরাহ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। বাকিটি দিয়ে বর্তমানে দৈনিক ৫০০-৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। সংস্কার শেষে দ্রুতই এটি চালু করা হবে। এদিকে দেশে সরবরাহ অর্ধেকে নেমে আসায় পুরোপুরি এলএনজি নির্ভর চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সংকট বেড়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- সামিটের টার্মিনালটি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুই টার্মিনাল দিয়েই সরবরাহ শুরু হলে দেশে গ্যাস সংকট কমে আসবে।
শিগগিরই আদালতে মামলা খবরটি দৈনিক সুপ্রভাতের। ব্যাংকের লকার থেকে দেড়শ ভরি স্বর্ণ গায়েবের ঘটনায় শিগগিরই আদালতে মামলা করবে ভুক্তভোগী পরিবার এ সংক্রান্ত খবর এটি। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়- প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের দেড়শো ভরি স্বর্ণ গায়েবের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখা থেকে। লকার খোলা অবস্থায় দেখতে পাওয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহক । স্বর্ণ উধাওয়ের এই খবর শুনে গ্রাহকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে উৎকণ্ঠা। নিয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, নগরীর চকবাজার এলাকার বেভারল হিলসের বাসিন্দা রোকেয়া বারী ৷ চকবাজার শাখার ইসলামী ব্যাংকের লকারে রেখেছিলেন ১৬০ ভরি স্বর্ণ। তার অভিযোগ, গত ২৯ মে তিনি ব্যাংকে কিছু স্বর্ণ ব্যবহারের জন্য আনতে গিয়ে লকার খোলা অবস্থায় দেখতে পান। সেখানে ১৬০ ভরির জায়গায় আছে মাত্র ১০ ভরির মতো স্বর্ণ। কিছু কাছের চুড়ি, কানের দুল, গলার চেইন ও কয়েকটা আংটি পান তিনি। দেড় কোটি টাকারও বেশি মূল্যের স্বর্ণ লকার থেকে গায়েব হওয়ায় হতবাক তার পরিবার স্বর্ণ গায়েবের বিষয়ে রোকেয়া বারী বলেন, ‘লকারে ইনচার্জ উনি তো প্রথমেই ঢুকে, উনি বলতেছে ম্যাডাম আপনার লকারের নম্বর কত। আমি বললাম ফোরটি ফোর। উনি বলে ম্যাডাম আপনার লকার তো খোলা।’
এমন ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে ব্যাংকটির লকারে স্বর্ণ রাখা অন্য গ্রাহকদের মাঝেও। সকালে ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায় লকারে রাখা স্বর্ণ ঠিক আছে কিনা দেখতে হাজির হয়েছেন অনেকে। ব্যাংকে উপস্থিত একজন গ্রাহক বলেন, ‘একজনের স্বর্ণ চুরি হয়েছে। এখন আমারগুলো চুরি হয়েছে কিনা, ওই জন্য লকার দেখতে চলে এসেছি। আমি এসে দেখলাম লকার, আমার লকারে কিছু হয়নি।’ আরেকজন গ্রাহক বলেন, ‘ব্যাংকে রাখলাম সিকিউরিটির জন্য, কিন্তু সেটা যদি এখান থেকে উধাও হয়ে যায়। বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জাজনক।’ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, লকারের মূল দরজা খোলার জন্য একজন ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেয়া হয় । তবে যার যার লকারের চাবি সেই গ্রাহকের কাছেই থাকে। এখন কীভাবে স্বর্ণ উধাও হলো তা অজানা। এ ঘটনায় ব্যাংকের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখার প্রধান কর্মকর্তা এস এম শফিকুল মাওলা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা মনে করি ক্লায়েন্ট ভালো জানেন। কী ঘটেছে ক্লায়েন্টেই জানেন। উনার লকারে কী ছিলো, আর উনি কী করছেন । আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসেছিলেন এবং উনাদের সহযোগিতায় আমাদের কাজ চলছে। আমাদের দিক থেকে কোথাও কোনো সমস্যা আছে কিনা আমরা সেটি দেখছি।’ এ ঘটনায় শিগগিরই আদালতে মামলা করবে ভুক্তভোগী পরিবার।
চাটগাঁর চোখ/ এইচডি