চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বুডিশ্বচরে জন্ম নেওয়া চিকিৎসক বাবর আলী এভরেস্ট জয়ের পর এবার জয় করলো পৃথিবীর চতুর্থ উচ্চতম পবর্তশৃঙ্গ লোৎসে। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে একই অভিযানে দুটি পর্বত সামিট করলেন বাবর।
মঙ্গলবার (২১ মে) বাংলাদেশ সময় ৬টা ৫ মিনিটে বাবর আলী লোৎসের চূড়ায় দাঁড়ান। তিনদিন ধরে রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষার পর এ শৃঙ্গ জয় করেছেন তিনি। লোৎসের উচ্চতা ২৭ হাজার ৯৪০ ফুট।
বাংলাদেশের ইতিহাসে বাবর আলীই প্রথম ব্যক্তি যিনি একই অভিযানে দুটি আট হাজার মিটার পর্বত সামিট করেছেন।
বাবরের সংগঠন ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স নিজেদের ফেসবুক পেজে লোৎসে পর্বতজয়ের তথ্য জানিয়ে বলেছে, ‘বাংলাদেশের পর্বতারোহণের ইতিহাসে আজ লিখিত হলো অভূতপূর্ব ও রোমাঞ্চকর এক অধ্যায়। আর লেখক আমাদের স্বপ্ন সারথি-বাবর আলী।…এটিই এই বাংলাদেশের কোনো সন্তানের প্রথম লোৎসে সামিট এবং প্রথম একই অভিযানে দুইটি ৮ হাজারি শৃঙ্গ সামিট। …বাবর এখন নেমে আসা শুরু করেছে। বেসক্যাম্পে পৌঁছালেই হবে মূল উৎসব’।
এর আগে গত রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ৯টায় পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছান বাবর আলী।
চলতি বছরের ১ এপ্রিল নেপালের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন চট্টগ্রামের বাবর আলী। পর্বতারোহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নানা সরঞ্জাম কেনার কাজ শেষ করে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।
সেখানে অবস্থান করেন সপ্তাহখানেক। ট্রেকিং পর্ব শেষ করে পৌঁছান এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে। মূল অভিযান শুরু হয় সেখান থেকে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে ডাক্তার হয়েছেন বাবর। তবে পর্বত জয়ের নেশায় চিকিৎসকের চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘোরার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন তিনি।
২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে চার বছরে পাঁচ বাংলাদেশি ছয়বার মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন। কিন্তু এরপরই এভারেস্ট অভিযানে নেমে আসে খরা। দীর্ঘ সময় কোনো বাংলাদেশির সফল অভিযান হয়নি।
১১ বছরের সেই খরা কাটিয়ে রোববার ভোরে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় লাল-সবুজ পতাকা হাতে বাবর আলী।
চচ/আরপি